সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৮২ মিটার উঁচু মূর্তি ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ তৈরি করতে গিয়ে প্রথম থেকেই আদিবাসী বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল মোদী সরকারকে। মূর্তি তৈরির প্রকল্প আদিবাসীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করেছে, উদ্বোধনের আগে আগে এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন হাজার হাজার আদিবাসী। এবার ফের বিতর্কে জড়াল মোদীর এই সাধের স্ট্যাচুর নাম। গুজরাতে অবস্থিত সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তিটির টিকিটের অর্থ সংগ্রহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকারও বেশি অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে মামলা রুজু করে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সুউচ্চ মূর্তিটির তৈরি করা নিয়ে আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এবার অভিযোগ, যে সংস্থাকে টিকিটের অর্থ সংগ্রহ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদেরই কয়েকজন কর্মী ৫.২৪ কোটি টাকার অর্থ তছরুপ করেছে। মূর্তি কর্তৃপক্ষ যে ব্যাঙ্কে দু’টি অ্যাকাউন্ট খুলেছিল, সে ব্যাঙ্কের তরফেই এই সংস্থাটিকে টিকিটের অর্থ সংগ্রহের বরাত দেওয়া হয়। ওই সংস্থার কাজ ছিল, পর্যটকদের থেকে টিকিট বাবদ আগের দিনের জমা পড়া অর্থ, পরেরদিন ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা করা। কিন্তু সম্প্রতি ভদোদরার ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের অডিটে দেখা যায়, ব্যাঙ্কের ডিপোজিট স্লিপের সঙ্গে জমা পড়া অর্থের কোনও মিল নেই।
এরপরই সোমবার রাতে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার স্থানীয় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন। জানান, নভেম্বর ২০১৮ থেকে মার্চ ২০২০ পর্যন্ত কোনও অর্থই নাকি জমা পড়েনি। সবমিলিয়ে যার পরিমান পাঁচ কোটি ২৪ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৭৫ টাকা। ডেপুটি সুপারিন্টেন্ড্যান্ট বাণী দুধাত এই প্রসঙ্গে জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ এবং ১২০–বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এদিকে, এই অর্থ তছরুপের ব্যাপারে অবশ্য কোনও দায় নিতে চায়নি ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি ব্যাঙ্ক ও ওই সংস্থার বিষয়।