সপ্তাহের প্রথম দিনেই শহরে চলে এসেছিল কোভ্যাক্সিন। আর আজ সমস্ত প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে কলকাতার ফার্স্ট সিটিজেন হিসেবে বিকেলে বেলেঘাটা নাইসেডে গিয়ে করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অংশ নিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এবার টানা সাতদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি। ২৮ দিন পর ফের তাঁর উপর এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে।
এদিন বিকেলে নাইসেডে পৌঁছতেই কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে স্বাগত জানান ডিরেক্টর শান্তা দত্ত। এরপর ভিতরে গিয়ে তিনি যে করোনার টিকা নিতে রাজি, সেই সম্মতি পত্রে সই করেন। তারপরই আসল পর্ব। তাঁর উপরই পরীক্ষামূলকভাবে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করে বৈজ্ঞানিক ট্রায়ালের সূচনা ঘটে নাইসেডে। শেষ ধাপের ট্রায়ালের অঙ্গ হিসেবে কলকাতায় পৌঁছেছিল কোভ্যাক্সিনের ১ হাজার টিকা। বাংলার একহাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এবার এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে।
টিকা প্রয়োগের পরই ফিরহাদ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় জনতার জন্য কাজ করতে বলেন। সেই জন্যই মানুষের জন্য এগিয়ে আসা। আগেও বলছি, এখনও বলছি, এতে যদি আমার প্রাণও যায়, তাও অসুবিধা নেই।” একইসঙ্গে জানান, অক্সফোর্ড এবং বায়োটেকের মধ্যে কোন টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য তিনি রাজি হতেন? এক মুহূর্ত না ভেবেই তিনি জানান, “বায়োটেকই নিতাম। কারণ দেশের বিজ্ঞানীদের উপর পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। আমাদের টিকার উপরও আস্থা আছে।”