একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে হঠাতই বাংলা নিয়ে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই। কয়লা পাচারের তদন্তে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে তারা। এবার তা দেখেই সিবিআইকে এনডিএ-র নতুন শরিক বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিন তৃণমূল ভবনের সংবাদিক বৈঠকে সিবিআই তল্লাশি শ্যামপুকুরের বিধায়ক বলেন, ‘এনডিএ থেকে একের পর এক দল বেরিয়ে যাচ্ছে। শিবসেনা, আকালি দল বেরিয়ে গেছ। এখন এনডিএ-র শরিক হয়েছে সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স।’ রাজনৈতিক ভাবে সিবিআইকে ব্যবহার করার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন নয়। এদিন আরও একবার সেই অভিযোগ তুললেন শশী।
অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তথ্য আড়াল করার অভিযোগও তুলেছেন শশী। তিনি বলেন, ‘প্রার্থী হিসেবে সমস্ত রকমের আয়ের তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা করতে হয়। কমিশনের আইন অনুযায়ী, কোনো রকম তথ্য আড়াল করা যায় না। এ ধরনের প্রমাণ পাওয়া গেলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেয়। তবে যাঁরা ওই প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন, তাঁদেরও জানার ইচ্ছা থাকে। ফলে কেউ যদি সেই সমস্ত তথ্য গোপন করেন, তা হলে সেটা ভোটারকে ধোঁকা দেওয়ার সামিল।’
এরপরই তিনি বলেন, ‘ব্যারাকপুরের নির্বাচিত সাংসদ অর্জুন সিং যে হলফনামা দিয়েছেন, সেখানে অসত্য এবং অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। নিজের সম্পদের ক্ষেত্রে তথ্য গোপন করেছেন। দুবাইয়ে নথিভুক্ত একটি সংস্থায় ২ লক্ষ শেয়ার রয়েছে। ওই শেয়ারের বিবরণ দেননি অর্জুন। শ্রাবন্তী সিনহা রায়ের ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৩০০ শেয়ার রয়েছে। সেটাও উল্লেখ করা হয়নি।’ তাঁর অভিযোগ, নিজের স্ত্রীর নামও হলফনামায় উল্লেখ করেননি অর্জুন। এক জন মহিলার অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। অথচ, ওই মহিলার সঙ্গে অর্জুনের বিবাহের যাবতীয় কাগজপত্র রয়েছে। সন্তান রয়েছে, সেই শিশুকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।