দেশের সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে নারী হিংসার ঘটনা উল্লেখজনক ভাবে বেড়েছে। এক সমীক্ষা রিপোর্টে পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করা হয়, ২০১৫-১৬ সালে উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসার শতকরা হার ছিল ২৩.৫ শতাংশ। যোগীশাসনে ২০১৮-১৯ সালে নারী হিংসার এই হার বেড়ে হয়েছে ৫১ শতাংশ। একই মেয়াদকালের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮ শতাংশ। আন্তর্জাতিক নারী হিংসা বিরোধী দিবস উপলক্ষে এই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের ১০,১০০ কিশোরীর উপর সমীক্ষার ভিত্তিতেই এই রিপোটর্টি তৈরি করা হয়েছে।
সম্প্রতি সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রকাশ করে পপুলেশন কাউন্সিল নামে এক এনজিও। এতগুলো রাজ্য থাকতে কেন উত্তরপ্রদেশকেই বেছে নেওয়া হল? পপুলেশন কাউন্সিল-এর বক্তব্য, দেশের সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য হওয়ার কারণেই তারা সমীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যকে বেছে নেয়।
সমীক্ষায় প্রকাশ, উত্তরপ্রদেশে বিবাহিত মেয়েদের (১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি) উপর মানসিক, শারীরিক ও যৌন হিংসার ঘটনা দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ সালে মেয়েদের উপর শারীরিক নির্যাতন নথিভুক্ত হয়েছিল ২৩.৫ শতাংশ। ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে তা দ্বিগুণ হয়ে ৫১ শতাংশ হয়েছে। ২০১৫-১৬ যৌন হিংসার শতকরা হার ছিল ৩০ শতাংশ, তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ শতাংশ। ২০১৫-১৬ সালে নথিভুক্ত মানসিক নির্যাতন ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৮-১৯ সালে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশে।
মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট নির্ভর হেনস্থা নিয়েও আলাদা করে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও কিন্তু ২০১৫-১৬ সালের তুলনায় ২০১৮-১৯ সালে হেনস্থার হার বেড়েছে। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি মেয়েদের ৩ শতাংশ অভিযোগ করেছিল, তারা ইন্টারনেট নির্ভর হেনস্থার শিকার। ২০১৮-১৯ সালে তা বেড়ে ৪.৮ শতাংশ হয়েছে।