করোনার দাপট, মনের মধ্যে বাড়তে থাকা আতঙ্ক, লকডাউনে স্তব্ধ হয়ে পড়া জনজীবন। প্রায় আট মাস ধরে চলা অনিশ্চয়তা আর উদ্বেগের বাতাবরণে ক্রিকেটের আইপিএল হয়েছে মরুভূমিমুখী। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সফল টি-টোয়েন্টি মহাযজ্ঞের পরে ভারতীয় ফুটবল ফিরছে আজ, শুক্রবার, গোয়ায় আইএসএলের হাত ধরে।
আজ নামছে এটিকে-মোহনবাগান। যেখানে দুই চাণক্যের দ্বৈরথ ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দু’জনেই স্পেনীয়। প্রথম জন এটিকে কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস কলকাতার দলে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েই আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন রয় কৃষ্ণ, প্রীতম কোটালদের। অপর স্পেনীয় কোচ কিবু ভিকুনা মোহনবাগানকে গত বার চ্যাম্পিয়ন করেন আই লিগে।
এটিকে-মোহনবাগান রক্ষণে সন্দেশ ঝিঙ্ঘন চোট সারিয়ে দীর্ঘ দিন পরে খেলতে নামছেন প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে। আর প্রথমেই প্রতিপক্ষ তার প্রাক্তন আইএসএল দল। হাবাসের রক্ষণকে দেশের সেরা বলা হচ্ছে। গত বারও রক্ষণ সামলানোর দিক থেকে এটিকে ছিল লিগের দ্বিতীয় সেরা। হাবাস আত্মবিশ্বাসী, কেরলের হুপার-মারে-সামাদের ত্রিভুজ আক্রমণ রুখে দিতে পারবেন তিরি-প্রীতম-সন্দেশরা। পাশাপাশি, আক্রমণে কৃষ্ণ, উইলিয়ামসের সঙ্গে সুসাইরাজের গতিতেও কেরল রক্ষণে তুফান তুলতে চান তিনি। বলছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে জেতাটা জরুরি। সমর্থকেরা তো রোজ সমর্থন করে একটা জিনিসই চায়। তিন পয়েন্ট।’’
মহাযুদ্ধের আগে কিবু বলে ফেললেন, ‘‘মোহনবাগান সদস্য, সমর্থকেদের মধ্যে অনেকেই আমার বন্ধু। গত মরশুম খুব ভাল কাটিয়েছি ওখানে।’’ পরক্ষণেই শক্ত চোয়াল, ‘‘তবে এই মুহূর্তে আমি কেরালা ব্লাস্টার্স এবং শুক্রবারের ম্যাচ নিয়েই ভাবছি।’’
হাবাস আবেগের ধার ধারেন না। চিরাচরিত শীতল স্বরেই সতর্কবার্তা শুনিয়ে রাখলেন, ‘‘গত মরশুমটা কিবুর দুর্দান্ত গিয়েছে মোহনবাগান কোচ হিসেবে। কিন্তু ওঁকে মনে রাখতে হবে, আইএসএল অন্য প্রতিযোগিতা। আমি সব কোচকেই শ্রদ্ধা করি। কিবুকেও। কিন্তু মাঠে ওকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট পেতে চাই।’’ কোনও প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলেই নেমে পড়ছে মোহনবাগান। হাবাস স্বীকার করেছেন, কম প্রস্তুতি নিয়েই নামতে হচ্ছে। তবে অজুহাত হিসেবে দেখাতে চান না।