আইএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচে এটিকে-মোহনবাগান মুখোমুখি হচ্ছে কেরালা ব্লাস্টার্সের। যে দলের কোচ আবার গত মরশুমে মোহনবাগানকে আই লিগে চ্যাম্পিয়ন করা স্পেনের কিবু ভিকুনা। তাই এই ম্যাচ শুধু বাংলা বনাম কেরালার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই নয়, সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের আবেগও।
এটিকে গত মরশুমে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের অধিকাংশ ফুটবলারকেই রেখেছে। রক্ষণে প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাসদের সঙ্গে এ বার তিরি, সন্দেশ জিঙ্ঘান, শুভাশিস বসুকে নিয়েছে। এ বারের আইএসএলে এটিকে-মোহনবাগানের রক্ষণই সেরা। মাঝমাঠ ও আক্রমণ ভাগও বেশ শক্তিশালী। এদু গার্সিয়া, হাভি হার্নান্দেস, জয়েশ রানে, মাইকেল সোসাইরাজ, প্রণয় হালদার ছিলই। এই মরসুমে সই করানো হয়েছে প্রতিশ্রুতিমান মিডফিল্ডার শেখ সাহিল ও গ্লেন মার্টিন্সকে। আক্রমণে রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামসের সঙ্গে রয়েছে মনবীর সিংহ। অঙ্ক করে দল সাজিয়েছেন হাবাস। প্রত্যেকটি বিভাগেই দারুণ ভারসাম্য।
হাবাস ও কিবুর মধ্যে পার্থক্য একটা নয়, একাধিক। এটিকে-মোহনবাগান কোচ খুব আগ্রাসী। নিজের দলের ফুটবলারদের মধ্যেও তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। মনে পড়ে যাচ্ছে গত মরশুমে আইএসএল ফাইনালের কথা। ম্যাচের আগে বিশেষজ্ঞেরা চেন্নাইয়িন এফসিকেই এগিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার পরেই ছবিটা বদলে গিয়েছিল। চেন্নাইকে ৩-১ গুঁড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এটিকে। টিভিতে দেখেছিলাম, চোটে পেয়ে রয় কৃষ্ণ উঠে যাওয়ার পরে কী ভাবে সাইড লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে ফুটবলারদের উজ্জীবিত করেছিলেন হাবাস। একেবারে যোদ্ধার মতো মানসিকতা। কিবু দর্শনীয় ফুটবল খেলে জিততে চান। গত মরশুমেই আই লিগে চার্চিল ব্রাদার্সের কাছে বিপর্যস্ত হওয়ার পরে যখন সর্বত্র সমালোচিত হচ্ছেন, তখনও বলে চলেছেন, হারলেও দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে ছেলেরা। সেটাই ওঁকে বেশি তৃপ্তি দিয়েছিল। তাই সব মিলিয়ে শুক্রবারের উদ্বোধনী ম্যাচে এগিয়ে রয়েছেন হাবাস-ই।