করোনা সংক্রমণ আয়ত্তে আসতেই আনলক পর্ব থেকে দেশে বিমান পরিষেবা চালু হয়েছে। দিল্লী, মুম্বই-সহ ভারতের ছ’টি গুরুত্বপূর্ণ শহর থেকে কলকাতায় বিমান চলাচল চালু হয়েছে। তবে সেই পরিষেবা এখনও খুব নিয়মিত নয়। লকডাউনের এতদিন পর ফের তা স্বাভাবিক করতে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাতে চলেছে কলকাতা এয়ারপোর্ট অ্যাডভাইজরি কমিটি। বৃহস্পতিবার কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই শহরগুলি থেকে প্রতিদিন বিমান ওঠানামায় যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা পুনর্বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ জানানো হবে আগামী সপ্তাহে। প্রসঙ্গত, এই কমিটির চেয়ারম্যান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁকে সামনে রেখেই আবেদন করতে চলেছে এয়ারপোর্ট অ্যাডভাইজরি কমিটি।
গত মাসের মাঝামাঝি সৌগত রায় নিজেই বিমান চলাচল স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। সেইবার অ্যাডভাইজারি কমিটি এই নিয়ে বৈঠকেও বসেছিল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ-সহ এয়ারলাইন্সের কর্তাদের সঙ্গে হয় আলোচনা। বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনার পর কমিটির তরফ থেকে আবেদন জানানো হয় রাজ্য সরকারের কাছে। তারপর এক মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এবার ফের একই আর্জি নিয়ে নবান্নের দ্বারস্থ হতে চলেছে এই কমিটি।
বর্তমানে সপ্তাহে তিনদিন দিল্লী, মুম্বই, চেন্নাই, পুনে, আহমেদাবাদ, নাগপুর থেকে কলকাতায় বিমান নামছে। ওই রাজ্যগুলির কোভিড পরিস্থিতির বিষয়টি খতিয়ে দেখে রাজ্যবাসীর শারীরিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। সপ্তাহে তিনদিনের বদলে বিমান চলাচল সাতদিন করার জন্য আবেদন জানানো হয়। এয়ারপোর্ট অ্যাডভাইজরি কমিটির আবেদনের একমাস পরও তিনদিনই এসব শহর থেকে বিমান যাতায়াত করছে।
রাজ্যবাসীর সুরক্ষা বজায় রেখেও এই ৬ শহরের সঙ্গে দৈনন্দিন বিমান যোগাযোগ রাখা যেতে পারে বলে মত কমিটির। তাঁদের প্রস্তাব, বিদেশ ফেরত যাত্রীদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম বলবৎ রয়েছে দমদম বিমানবন্দরে আন্তর্দেশীয় যাত্রীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম চালু হোক। লন্ডন থেকে ফেরার পর যেমন দমদম বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু হয়েছে, সব ধরনের যাত্রীর ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা লাগু করা হোক। এসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েই নিয়মিত বিভিন্ন শহরে উড়ান পরিষেবা চালু করলে, যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং যাত্রীদের সুরক্ষাও বজায় থাকবে বলে মত কমিটির।