দেশে করোনা সংক্রমণের প্রভাব কমে গেলেও রীতিমত ভেঙে পড়েছে অর্থনৈতিক অবস্থা। বিশ্বের বড় দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিপাকে পড়বে ভারতের অর্থনীতি। করোনার আগে ভারতে প্রতি বছর যে পরিমাণ পণ্য উৎপাদিত হত, চলতি দশকের মাঝামাঝি উৎপন্ন হবে তার চেয়ে ১২ শতাংশ কম। আজ অক্সফোর্ড ইকনমিক্সের ব্যালান্স শিটে এমনই দাবি করা হয়েছে।
অক্সফোর্ডের দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ প্রিয়াঙ্কা কিশোর ওই রিপোর্ট লিখেছেন। তাঁর মতে, আগামী পাঁচ বছর ভারতের অর্থনীতির বিকাশ হবে বছরে ৪.৫ শতাংশ হারে। করোনার আগে বার্ষিক বিকাশ হচ্ছিল গড়ে ৬.৫ শতাংশ। ব্যালান্স শিটে লেখা হয়েছে, ২০২০ সালের আগেই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়েছিল ভারতের অর্থনীতি। বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার লাভের পরিমাণ কমছিল। চাকরির বাজারে সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। ভারতে কোভিড অতিমহামারী আগামী দিনে এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
অক্টোবরের মাঝামাঝিও আইএমএফ থেকে বলা হয়, এশিয়ার মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতের অর্থনীতির। চলতি আর্থিক বছরে ভারতের অর্থনীতি সম্ভবত সংকুচিত হবে ১০.৩ শতাংশ। আইএমএফের হিসাবমতো বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, চীন, নেপাল, পাকিস্তান ও আরও পাঁচটি দেশের তুলনায় পিছিয়ে পড়বে ভারতের অর্থনীতি।
অর্থনীতির এই হাল নিয়ে আগেই সরকারকে সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের প্রাক্তন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু। তিনি বলেছেন, “দেশের অর্থনীতি এখন যেখানে পৌঁছেছে, তা কয়েক বছর আগেও কেউ ভাবতে পারেনি। তার জন্য আংশিকভাবে দায়ী কোভিড। তবে কেন্দ্রের মোদী সরকারও এই দায় এড়াতে পারে না। এই অবস্থা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। তথ্যকে অস্বীকার করলে চলবে না। যদি ভুল হয়ে থাকে, স্বীকার করতে হবে। ভুল সংশোধনের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।”