লকডাউনের জেরে পুরোপুরি থমকে গিয়েছিল ট্রেন চলাচল। আনলক পর্বে বিক্ষিপ্তভাবে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন চলতে শুরু করলেও বন্ধ লোকাল ট্রেন। তাই রেলে হকারি করে রুটিরুজির সংস্থানও বন্ধ হয়ে গেছিল। ঘিরে ধরেছিল আর্থিক অনটন।
অবশেষে কাল থেকে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। তাই ফের চেনা ছন্দে ফেরার স্বপ্নে মশগুল রেলের হকাররা।
পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা শিবশংকর রায় বলেন, ‘‘গত কয়েকমাস ঘরে বসে থেকে পুঁজি সব শেষ হয়ে গেছে। এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেছি সকাল থেকে রাত। তাতে কোনও রকমে দিনে ১০০ থেকে ১৫০ টাকার বেচাকেনা হতো। ট্রেনে উঠতে পারলে বেঁচে যাই।’’
শান্তিপুরের বিভিন্ন এলাকাতে প্রায় শতাধিক রেল হকারের বাস। শান্তিপুর থেকে শিয়ালদাগামী সমস্ত ট্রেনে দেখা মিলত এঁদের। কেউ ঝাল মুড়ি, কেউ রুমাল, কেউ বা ফল বিক্রেতা। দীর্ঘদিন ট্রেনে ওঠেননি তাঁরা। জিনিস বিক্রি করেননি। বুধবার থেকে ট্রেন চলার খবর শুনে শুধু ব্যক্তি নন খুশির হাওয়া গোটা পরিবারে। জমে থাকা ব্যবসার জিনিস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। তবে ট্রেনে উঠতে পারবেন কিনা তা নিয়ে এখনও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।