দীর্ঘ সাত মাস পর আগামীকাল থেকে রাজ্যে গড়াতে চলেছে লোকাল ট্রেনের চাকা। রাত পোহালেই চালু হবে ট্রেন। তাই শেষমুহূর্তের ব্যস্ততা এখন হাওড়া স্টেশন ও টিকিয়াপাড়া কারসেডে। লোকাল ট্রেনগুলিকে ফের প্রস্তুত করা হচ্ছে যাত্রী পরিষেবার জন্য। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে অন্যান্য যন্ত্রাংশ মেরামতির কাজ। আজ টিকিয়াপাড়া কারসেডে দেখা গেল রেলকর্মীরা ব্যস্ত প্রত্যেকটি ট্রেনের কামরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে।
ট্রেনগুলির যন্ত্রাংশ পরিবর্তনের পাশাপাশি রেল ট্র্যাকে পেনড্রাল ক্লিপে গ্রিজ লাগানো হচ্ছে। চাকা এবং গিয়ারবক্সে গ্রিজ লাগানোর কাজও চলছে। পাশাপাশি চলছে জীবানুনাশের কাজ। ট্রেনের প্রত্যেকটা আসনে ক্রস মার্ক করা হচ্ছে লাল স্টিকার দিয়ে। যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রত্যেকটি কামরায় বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজিতে পোস্টার লাগানো হচ্ছে। সেখানে কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে।
পাশাপাশি হাওড়া স্টেশনেও চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় লোকাল ট্রেন চালুর আগে সমস্ত কিছু দেখে নিচ্ছেন রেলের আধিকারিকরা। আরপিএফ ও জিআরপির তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রস্তুতি। টিকিয়াপাড়া স্টেশনেও দেখা গেল আরপিএফ এবং রেলকর্মীরা যাত্রীরা কীভাবে ঢুকবেন বেরোবেন তা নিয়ে তদারকি করতে। স্টেশনে ঢোকার এবং বেরোনোর গেট আলাদা করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগে প্রত্যেক যাত্রীকে থার্মাল চেকিং করা হবে।