দলকে নতুন করে শৃঙ্খলার পাঠ এবং নবগঠিত পঞ্চায়েত পরিচালনায় দিশা দিতে পুজোর মুখে দলের কোর কমিটির বর্ধিত সভা ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূল ভবনে কোর কমিটির ওই সভায় কিছু সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন নেত্রী। এই সভায় সকল সাংসদ, বিধায়ক এবং জেলা সভাধিপতি ও পুর চেয়ারম্যানদের ডাকা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলা সভাপতি ও শাখা সংগঠনের রাজ্য সভাপতিদেরও কোর কমিটির সভায় থাকতে বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রায় শেষ। সংখ্যার বিচারে হাতেগোনা কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ গঠন নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও সাংগঠনিক শৃঙ্খলার নিরিখে তাকে লঘু করে দেখতে চায় না তৃণমূল।
আগামী বছরের গোড়াতেই লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে যেহেতু সর্বভারতীয় স্তরে বিরোধী রাজনীতিতে মমতার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, সেই পটভূমিকায় দলীয় সংগঠনের ঢিলেঢালা ভাব ও অভ্যন্তরীণ অনৈক্য দূর করাই অন্যতম লক্ষ্য। তাই কোর কমিটির আসন্ন সভায় সে বিষয়েই উপদেশ দিতে চান তৃণমূল নেত্রী।
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জানুয়ারিতে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে জনসভার ডাক দিয়েছেন মমতা। গত ২১ জুলাই ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকেই তিনি জানিয়েছিলেন পুজোর ছুটির পর থেকে ব্রিগেডের সমাবেশ নিয়ে প্রচারে নামতে হবে।
সূত্রের মতে, পুজোর মরশুম কাটার পর কোনও রকম কালক্ষেপ চান না মমতা। বিশেষ করে ব্রিগেডের এই সভা শুধুমাত্র দলীয় পরিসরের সভা নয়। গোটা দেশের বিজেপি বিরোধী শক্তির সমাবেশ ঘটানোর লক্ষ্যেই ব্রিগেডে জমায়েত করতে চান তিনি। ভিনরাজ্যের বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতৃবৃন্দ ওই সমাবেশে যোগ দিতে আসবেন। স্বভাবতই, তা সফল করতে সাংগঠনিক দক্ষতার পাশাপাশি দলীয় ঐক্যও জরুরি। সেই কারণেই এই কোর কমিটির সভা থেকে ওই জনসভার প্রচার ও প্রস্তুতি নিয়ে কিছু সাংগঠনিক ঘোষণা করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।