শহীদ মিনারে বামেদের ফ্লপ সমাপ্তি অনুষ্ঠান চোনা ফেলে দিল তিন সপ্তাহের অধিকার যাত্রায়। বেরিয়ে এল সংগঠনের কঙ্কালসার চেহারা। ময়দানের এক কোনে কার্যত নমো নমো করেই সমাবেশ সাঙ্গ হল। লোক উপচে পড়া তো দূর অস্ত, ১২১ টি বাম সংগঠনের মঞ্চ বেঙ্গল প্ল্যাটফর্ম অফ মাস অর্গানাইজেশন-এর ব্যানারে সভার চেহারা দেখে অতি বড় বাম সমর্থকের কপালেও চিন্তার ভাঁজ। যারা এসেছিলেন তাঁরা প্রচণ্ড রোদে ছাতা মাথায় দিয়ে বসে থাকলেন। অনেকে দূরে দূরে গাছের ছায়ায় বসে গাল-গপ্পো করেই সময় কাটালেন। সূর্য-শ্যামলদের বক্তব্য শোনায় তাঁদের বিশেষ আগ্রহ ছিল না।
সেই ভাঙা হাট থেকেই বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে গলা তুললেন বাম নেতারা। বিপিএমও-র আহ্বায়ক শ্যামল চক্রবর্তী আগেভাগেই সাফাইয়ের সুরে বলে রাখলেন, ‘সাংবাদমাধ্যম বলবে, সমাবেশ ফ্লপ করেছে। মিডিয়া দেখাতে চাইছে বামেরা অমিত শাহের সভার মতো লোক আনতে পারেনি। যদিও বিজেপি-র সঙ্গে আমাদের কোনও প্রতিযোগিতা নেই’। অবশ্য শ্যামলের সঙ্গে একমত নন সূর্যকান্ত। তিনি বিজেপিকেই নিশানা করলেন। বিজেপির রথযাত্রাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূলকেও ছাড়েননি। বলেন, ‘বিজেপি ও তৃণমূল একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’।
সূর্যকান্তের এই হুঁশিয়ারি অবশ্য কর্মীদের চাঙ্গা করতে পারেনি। সমাবেশও জমেনি। কর্মীরা দুষছেন দলের বৃদ্ধতন্ত্রকেই। জানালেন, চাঁদিফাটা রোদ থাকলেও দলের বৃদ্ধতন্ত্রের জেদের জন্যই বাধ্য হয়ে সন্ধ্যার বদলে ভরদুপুরে সভা করতে হল। সমাবেশে কলকাতা থেকে লোক এলেও জেলা থেকে লোক আনার কোনও উদ্যোগ নেয়নি দল। বামেদের ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কর্মীদের সূর্যকান্ত ফের দলে ফেরার আহ্বান জানালেও বৃদ্ধতন্ত্র সামনে থাকলে জনতা কতটা ফিরবে, সেই প্রশ্নও থাকছে।