শীতের আমেজ মহানগরীতে। বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকেই তাপমাত্রা নামতে শুরু করে। ভোর হলেই শিরশিরানি অনুভব করা যাচ্ছে। বেলা বাড়লে তা উধাও হলেও আবার সন্ধে নামতেই ফিরছে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। তবে, আবহবিদদের কথায়, উত্তুরে হাওয়া তখনই বাংলা পর্যন্ত কাঁপিয়ে দিতে পারে, যখন মধ্য ভারতে ঠিকঠাক উচ্চচাপ বলয় থাকে। সে-ই চালিকাশক্তির কাজ করে। কিন্তু মরসুমের শুরুতেই এরকম সাধারণত হয় না। এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ নেই, তাই বৃহস্পতিবার থেকে খানিকটা ছাপ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সোমবার বা মঙ্গলবার থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
নভেম্বরের শুরুতে মহানগরে তাপমাত্রা কুড়ির নীচে নামা তাৎপর্যপূর্ণ নয় আদৌ। বরং ইদানীং কালের বেশ কয়েক বছর এর চেয়ে বেশি ঠান্ডা মিলেছিল। যেমন ২০০৯, ২০১১, ২০১২ সালে অক্টোবরেই তাপমাত্রা কুড়ির নীচে নেমে গিয়েছিল। এর মধ্যে ২০১১ সালে ৩০ অক্টোবর কলকাতার পারদ নেমেছিল ১৮.৯ ডিগ্রিতে।
হিমালয়ের পাহাড়ে বরফ পড়ায় অক্টোবরের শেষ থেকেই ভালো ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে উত্তর ভারতে। বুধবার দিল্লির তাপমাত্রা নেমে যায় ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তার ছিটেফোঁটাও এসে পৌঁছচ্ছিল না বাংলায়। অবশেষে মুখ তুলে তাকাল প্রকৃতি। শুক্রবার মরসুমে প্রথমবার কলকাতার পারদ নামল কুড়ির নীচে। আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামে ১৯.৮ ডিগ্রিতে। জেলায় ঠান্ডা স্বাভাবিক ভাবেই বেশি।