আসন্ন ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ ঘিরে উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। কারণ, কোভিডের আবহে এটাই সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল সিরিজ। আইপিএল খেলেই বিরাট কোহলিরা দুবাই থেকে সরাসরি সিডনি উড়ে যাবেন। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটিয়ে তিনটি ওয়ান ডে, তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। তারপর লাল বলের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল। গতবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছিল কোহলি বাহিনী। নির্বাসিত থাকায় সেবার খেলতে পারেননি স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারের মতো তারকারা। তাঁদের কামব্যাক শক্তি বাড়িয়েছে অজি বাহিনীর। এবার ঘরের মাটিতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি ফিরে পেতে মরিয়া টিম পেইনের দল। তবে কোহলিরাও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ।
কোহলিকে স্লেজিং করে খুব একটা লাভ হবে না বলেই মনে করছেন স্টিভ ওয়া। স্মিথদের সতর্ক করে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘কোহলির অনেক বড় মাপের ক্রিকেটার। ওকে স্লেজিং করার ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো। হিতে বিপরীত হতে পারে। ওর যদি জেদ চেপে যায়, তাহলে ভারতকে টেস্ট সিরিজে এবারও হারানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। গতবার এই ভুলটাই আমরা করেছিলাম। তার মাশুলও গুণতে হয়েছিল ১-২ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরে। তাই কোহলিকে স্বাভাবিক ছন্দেই খেলতে দেওয়া ভালো। চেষ্টা করতে হবে ওর দুর্বল জায়গাগুলি খুঁজে বের করে সেখানে আঘাত করা। ক্যাপ্টেন কোহলি হল টিম ইন্ডিয়ার মেরুদণ্ড। ওকে যদি বড় রান করা থেকে বিরত রাখা যায়, তাহলে গোটা দল চাপে পড়ে যাবে। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের কাছে কোহলিকে আউট করার জন্য একাধিক পরিকল্পনা মজুত থাকুক, এটাই আমার আশা। পরিস্থিতি অনুযায়ী তা প্রয়োগ করতে হবে।’
কোনও সন্দেহ নেই, এই সিরিজের আকর্ষণে কেন্দ্রবিন্দুতে বিরাট কোহলি। তাঁর ফোকাস নড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবেন বিপক্ষ ক্রিকেটাররা। তাঁরা ভালোই জানেন, ভিকে’র মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারলে টিম ইন্ডিয়াকে বশ মানানো সহজ হবে। দেশের মাটিতে খেতাব জিততে বাইশ গজে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি স্লেজিংকেও অস্ত্র করেন স্টিভ স্মিথ, ওয়ার্নাররা। এটাই নাকি তাঁদের ‘পরম্পরা’। অতীতে স্লেজিং ঘিরে বহু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে অজিদের অবশ্য কোনও হেলদোল নেই। তাঁদের মতে, স্লেজিং হল শিল্প। যা আয়ত্ত করতে হয়। তবে বিরাট কোহলিও অন্য ধাতুর তৈরি। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা তাঁকে সৌরভ ঘরানার ক্যাপ্টেন বলে থাকেন। বিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করা তাঁর নেশা। যা তিনি ঢুকিয়ে দিতে পেরেছেন ভারতীয় দলের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে। তাই বিরাটের নেতৃত্বাধীন দলে আগ্রাসন অনেক বেশি।