তিনি ফের এলেন, ফের দেখলেন, ফের জয় করলেন। তিনদিনের সফরে শিলিগুড়ি এসেই গজলডোবার মেগা ট্যুরিজম হাবের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর হাতেই হল উত্তরের পর্যটনের এই মহাপ্রকল্পের সূচনা।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে প্রথম পাহাড় এসেই মমতা আবিষ্কার করেছিলেন গজলডোবা। যেমন দেখা তেমন কাজ। একদিকে তিস্তার বাঁকে বিপুল জলরাশি তিস্তার আর বোরোলির স্বাদ। অন্যদিকে বৈকুণ্ঠপুরের ঘন জঙ্গলের সবুজ আঁচল। মাঝে ক্যানভাসের মতো দাঁড়িয়ে আছে মেঘে ছেঁয়ে যাওয়া হিমালয়ের চূড়া। সব মিলিয়ে শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মত এই গজলডোবাই হতে চলেছে ভ্রমণপিপাসু বাঙালির নতুন ডেস্টিনেশন।
শিলিগুড়ি থেকে চল্লিশ মিনিটের পথ গজলডোবা। আজ বিমানে শিলিগুড়ি পৌঁছেই সরাসরি ডুয়ার্সের গজলডোবায় চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েকশো কোটি টাকা বিনিয়োগে গড়ে ওঠা এই ‘ভোরের আলো’ মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ৪৫ কিলোমিটার, শিলিগুড়ি শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার, জলপাইগুড়ি থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে তিস্তার ওপরে গজলডোবা জলাধারকে কেন্দ্র করে ২০৮ একর জমির ওপরে গড়ে উঠছে মেগা ট্যুরিজম হাব।
এই ২০৮ একর জমির উপর প্রথম দফায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে পর্যটন দফতর। আপাতত ওই এলাকায় ৬টি কটেজ তৈরি হয়েছে। গোটা এলাকায় উন্নতমানের ঘাস ও বাহারি ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। প্রতিটি কটেজে ঢোকার রাস্তা পেভার্স ব্লক দিয়ে বাঁধানো। তিস্তায় নৌকোবিহারের জন্য ২০-২৫টি নৌকা বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এলাকার সেচ দফতরের হাওয়ামহলটিও সাজানো হয়েছে।
এখানে পর্যটকেরা যেমন একদিকে জঙ্গলে হাতি সাফারির সুযোগ পাবেন, তেমনই জঙ্গলে সাইক্লিংও বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে। আবার পাশেই পাখি বিতানে থাকছে দেশ-বিদেশের পরিযায়ী পাখিদের কাছ থেকে দেখার ও চেনার সুযোগ। এছাড়া এই ট্যুরিজম হাবে থাকছে অর্কিড পার্ক, গলফ কোর্স, হাউস বোট, স্পা। রয়েছে হাতিদের পিলখানাও। যেখানে হাতিদের স্নান দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা।