রবিবার সকালে নদীয়ার গয়েশপুরে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় যে ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছিল, কোনওরকম প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে বিজেপি কর্মী আখ্যা দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছিল গেরুয়া শিবির। ঠিক যেভাবে রাজ্যের কোথাও দলীয় কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেই দলের নেতা-কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে গয়েশপুর কাণ্ড নিয়ে এবার বেশ চাপেই পড়ল বিজেপি।
গত রবিবার সকালে গয়েশপুরের শ্মশান এলাকার পাশে একটি আমবাগান থেকে বিজয় শীল (৩৪) নামে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনা জানাজানি হতেই বিজয়কে বিজেপির যুব নেতা দাবি করে দফায় দফায় গয়েশপুরে ছুটে আসেন মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়, রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার-সহ অন্য নেতারা। তাঁরা দাবি করতে থাকেন, বিজেপি কর্মী হওয়ার কারণে বিজয় শীলকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কিন্তু খোদ মৃতের ভাইপো তৃণমূল কার্যালয়ে এসে সাফ জানিয়ে দিলেন, মৃত বিজয় শীলের সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। তিনি কখনই বিজেপি করেননি। স্বাভাবিকভাবেই এই কারণে বেজায় বিপাকে পড়ল গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের তরফে আগেই এই দাবি করা হয়েছিল যে, বিজেপির চাপেই আগে আগে বিজয় শীলের সঙ্গে গেরুয়া যোগের দাবি করেছিল পরিবার। তবে রবিবার সকাল থেকেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যয়ের মতো বিজেপির নেতা-নেত্রীরা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে টুইট করেছিলেন গয়েশপুরের ঘটনার প্রেক্ষিতে। বিজেপির আইটি সেলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অমিত মালব্য বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চোধুরীও টুইট করেছেন। পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। বিজেপি ১২ ঘণ্টার কল্যাণী বনধ ডাকলেও তাতে অবশ্য বিশেষ সাড়া মেলেনি।