বাংলার পুলিশকে নপুংসক আখ্যা দেওয়া হোক বা গাছে বেঁধে পেটানোর হুমকি, বারবারই নিজেদের সীমা পেরিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির প্রতিটি জনসভা থেকে শুরু করে ক্লোসড ডোর, সবেতেই নিয়ম করে উচ্চারিত হয়, ক্ষমতায় এলে পুলিশকে দেখে নেওয়া হবে। এবার কাগজে কলমে তার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।
সূত্রের খবর, বিজেপি বিরোধী পুলিশ আধিকারিকদের তালিকা তৈরির নির্দেশ গিয়েছে জেলা কমিটিগুলোর কাছে। নির্দেশ দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে দলীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর পুলিশের তালিকা তৈরি করতে বলেছেন নাড্ডা। জেলা কমিটি যে তালিকা তৈরি করবে তা কেন্দ্রীয় স্তরে ঝাড়াই বাছাই করে ফাইনাল লিস্ট তৈরি করবেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ। তারপর ২০২১ সালে ক্ষমতায় এসে নাম ধরে ধরে পাই-পয়সার হিসেব করা হবে বলে বিজেপি সূত্রে দাবি। রাজ্য পুলিশকে টেরর এজেন্সি বলে আক্রমণ করে খোদ বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, এবার থেকে প্রতিটি জেলা কমিটি তলে তলে বিজেপি বিরোধী পুলিশ আধিকারিকদের তালিকা তৈরি করুক। জেলাওয়াড়ি তালিকা নিয়ে ফাইনাল লিস্ট তৈরি করবেন ভারতী ঘোষ।
উত্তরবঙ্গ বিজেপির এক নেতা জানাচ্ছেন, পুলিশ সুপার থেকে থানার ওসি, প্রত্যেকের আলাদা আলাদা তালিকা তৈরি হবে। তালিকায় নাম ঢোকানোর জন্য মাথায় রাখা হবে তিনটি বিষয়। প্রথমত, কারা সরাসরি বিজেপি বিরোধী অবস্থান নিয়ে মিথ্যা মামলা দিচ্ছেন? দ্বিতীয়ত, শাসক দল তৃণমূলকে বাঁচাতে কোন অফিসারেরা সক্রিয় এবং প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিচ্ছেন? আর, বিজেপি ভাঙিয়ে তৃণমূল ভরাতে সক্রিয় গোষ্ঠীর হয়ে কোন কোন পুলিশ আধিকারিক কাজ করছেন? জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের জেলা কমিটিগুলোর সভাপতিদের অত্যন্ত গোপনে তালিকা তৈরি করে ফেলতে বলা হয়েছে। অফিসারের নাম, কোন থানায় কতদিন ধরে ডিউটি করছেন, জেলায় কতদিন কাজ করছেন ইত্যাদিও নথিভুক্ত করতে হবে। ২০২১ সালে ক্ষমতায় এলে তালিকা ধরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি বিজেপি নেতাদের।