আর কিছুদিনের মধ্যেই ভারতে শুরু হচ্ছে রুশ ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। সূত্রের খবর, এই ট্রায়ালের জন্য কলকাতার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে বেছে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালেরই ১২ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রয়োগ করা হবে রাশিয়ার তৈরি এই করোনা প্রতিষেধক। ডিজিসিআই, এথিক্স কমিটির অনুমোদন পেলেই শুরু হবে কাজ। চলতি নভেম্বরের মধ্যেই ট্রায়াল পর্ব শুরু হওয়ার কথা।
রুশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য রাশিয়ার তৈরি করোনা প্রতিষেধকের ১০০টি ডোজ পাঠানো হয়েছে ভারতে। করোনাযুদ্ধে দু’দেশ হাতে হাত ধরে লড়াই করবে, এমনই কথা। রুশ করোনা প্রতিষেধক স্পুটনিক ফাইভের ট্রায়ালে তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ডক্টর রেড্ডিস ল্যাব। পরীক্ষার সমস্ত ব্যবস্থা করছে তারাই। সূত্রের খবর, দেশজুড়ে মোট ১০০ জনের শরীরে তা প্রয়োগ করা হবে।
দেশে রুশ ভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল আগেই হয়ে গেছে। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে ট্রায়ালের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার অন্যতম সেরা সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্ণধার স্নেহেন্দু কোনার জানাচ্ছেন, ”আমরা হাসপাতাল পরিদর্শন করে তার সমস্ত পরিকাঠামো খুঁটিয়ে দেখেছি। সেখানে কোল্ড স্টোরেজের কেমন ব্যবস্থা, ট্রায়ালের উপযুক্ত পরিস্থিতি আছে কি না, সব দেখা হয়েছে। কারণ, ভ্যাক্সিন মজুত রাখতে হলে যথোপযুক্ত কোল্ড স্টোরেজের প্রয়োজন। এছাড়া এর আগে এই হাসপাতালের কোনও ট্রায়ালের অভিজ্ঞতা আছে কি না, তার সমস্ত রেকর্ড খতিয়ে দেখেছি। সবই আমাদের মনমতো। রিপোর্ট ডিজিসিআই-তে পাঠিয়েছি, এখন তাদের অনুমোদনের অপেক্ষা।”
যদিও ডিজিসিআই-র পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরেরও অনুমোদন প্রয়োজন। সব ঠিক থাকলে, নভেম্বরের শেষেই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ১২ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে স্পুটনিক ফাইভের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল পর্ব শেষ হয়ে যাবে। এর ফলাফলের ভিত্তিতে কলকাতার আরও দুই হাসপাতালেও রুশ ভ্যাক্সিনের তৃতীয় ধাপ ট্রায়ালের কথা ভাবা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে পিয়ারলেস এবং মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নামও উঠে আসছে।