এবারে রাজ্য করোনা আটকাতে ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল হতে চলেছে। তবে দেশের কোন ভ্যাকসিন এর নয়, রাশিয়ান ভ্যাকসিন “স্পুটনিক ভি” এর হিউম্যান ট্রায়াল হবে এ রাজ্যে। প্রাথমিকভাবে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালেই এই হিউম্যান ট্রায়াল হবে বলে জানাচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার আধিকারিকরা। রাশিয়ান এই ভ্যাকসিনের দেশজুড়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি ইতিমধ্যেই দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ১০০ জন এর উপর ট্রায়াল হবে। সে ক্ষেত্রে এ রাজ্যে ১০ থেকে ১২ জনের ওপর এই রাশিয়ান ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল করা হতে পারে বলে জানাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।
এই ধরনের ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল করতে গেলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। সব মিলিয়ে তাই এখন সবার নজর রাজ্যে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে এই রাশিয়ান ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে কিনা।
অক্টোবর মাসের গোড়াতেই রাশিয়ান ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া থেকে “ডক্টর রেড্ডি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড” নামক সংস্থা। রাশিয়ান এই ভ্যাকসিন এর দ্বিতীয় পর্যায়ের হবে ১০০ জনের ওপর এবং দ্বিতীয় পর্যায় শেষ হওয়ার পর তৃতীয় পর্যায়ের হবে ১৫০০ জনের ওপর এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে বলে এই সংস্থা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এই সংস্থা। সেক্ষেত্রে তৃতীয় পর্যায়ে শেষ হতে হতে আগামী বছরে এপ্রিল মাস পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্গালোর নির্ভর এই সংস্থা। দেশজুড়ে এই দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল যখন হতে চলেছে তখনই রাজ্যেও সেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হতে চলেছে। স্নেহেন্দু কোনার জানিয়েছেন ” আমরা সাগর দত্ত হাসপাতালের এথিক্স কমিটির কাছে প্রস্তাব পাঠাচ্ছি। এথিক্স কমিটি সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দিলে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে পাঠানো হবে। স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন পেলেই নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই আমরা এই রাশিয়ান ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করতে পারব বলে আশা করতে পারছি।”