এ বার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সক্রিয় হলেন বিমল গুরুং ও বিনয় তামাং দ্বৈরথের আগুনে জল ঢালতে। নবান্নে তিনি ডেকে পাঠালেন বিনয় তামাং, অনীত থাপাকে। আগামী মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর তাঁরা নবান্নে আসছেন বলে জানা গেছে।
অনেক দিন নেপথ্যে থাকার পর দুর্গাপঞ্চমীর দিন হঠাৎ করেই প্রকাশ্যে আসেন বিমল গুরুং। ঘোষণা করেন, বিজেপি কথা রাখেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থন করবেন তিনি। আর ঠিক তার পর থেকেই বিনয় তামাং অনীত থাপা গোষ্ঠী বিমল গুরুংয়ের বিরোধিতা করে নানা রকম বার্তা দিতে শুরু করে। পাহাড়ে বের করে শান্তি মিছিল।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বিনয় তামাং-অনীত থাপা গোষ্ঠী বিমলকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে। কেননা, মমতাকে সমর্থনের বার্তা দিয়ে নতুন করে পাহাড়ের রাজনীতিতে পা রাখতে চলা বিমলকে তৃণমূল ঠিক কতটা গুরুত্ব দেয় এবং তার জেরে বিনয়ের সংসারেই-বা কী কী পরিবর্তন ঘটতে পারে, এ নিয়ে দ্বিধায় তারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা আরও মনে করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এখন সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখা এবং সেখানে উন্নয়ন চালু রাখা। সামনেই ভোট। সেখানে বিমলের নিজস্ব সমর্থকের সংখ্যাটা কম নয়। যা ভোট-অঙ্কে সুবিধায় রাখবে তৃণমূলকে। আর এই সব দিক ভাল ভাবে সামলাতে গেলে হাসতেই হবে পাহাড়কে। কিন্তু বিমল-বিনয় সমঝোতার অভাবে সেই হাসি ফুটবে না বরফমোড়া দিগন্তে। তাই তিনি বিবদমান এই দুই গোষ্ঠীকে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টাই করছেন।
সেই চেষ্টারই প্রথম ধাপ হিসেবে সম্ভবত বিনয় তামাংকে নবান্নে ডেকে পাঠালেন মমতা। জানা গিয়েছে, অনীত থাপাকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৩ নভেম্বর, মঙ্গলবার নবান্নে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা।