বছর ঘুরলেই বাংলায় নির্বাচনের ঢাকে কাঠি। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি মাঠে নেমে পড়েছে। চলছে প্রাক-প্রচার কর্মসূচী। এসবের মধ্যেই সামনে এল একটি জনমত সমীক্ষা। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চেয়েছেন ৭৮ শতাংশ মানুষ। বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্খা তিনিই বোঝেন বলে মত দিয়েছেন ৪৯ শতাংশ জনগণ।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার মানুষের মন বুঝতে সমীক্ষা চালিয়েছে সাইনোভাম রিসার্চ প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থা। তিন হাজার একশো টেলিফোন কলের মাধ্যমে জনগণের মতামত সংগ্রহে করেছে তারা। সেখানে দেখা গিয়েছে, এখনই ভোট হলে তৃণমূলের ক্ষমতায় ফেরা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা হবে। লোকসভা ভোটের মোদী ঝড় উড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল ফের দখল করবে বাংলার ক্ষমতা।
এই জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস জোটকে দশ গোলে উড়িয়ে দিয়েছেন মমতা। ৭৮ শতাংশ মানুষ তৃণমূলনেত্রীকেই ফের বাংলার কুর্সিতে দেখতে চেয়েছেন। সেখানে দিলীপ ঘোষের পক্ষে মত দিয়েছেন ১২ শতাংশ মানুষ। বামেদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সিপিএমের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী দেখতে চান মাত্র ৩ শতাংশ জনতা। বঙ্গে করোনা এবং উম্পুন মোকাবিলায় মমতা সরকারের কাজে জনগণ খুশি বলেই প্রকাশ পেয়েছে এই সমীক্ষায়। ৩৮ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন কোভিড সংকট কাটাতে সদর্থক কাজ করেছে রাজ্য সরকার। উম্পুন মোকাবিলাতেও ৪১ শতাংশ মানুষ তৃণমূল সরকারের কাজের প্রশংসা করেছেন। বাংলার মানুষের আশা, আকাঙ্ক্ষার কথা সবচেয়ে ভালো মমতা বোঝেন বলে জানিয়েছেন ৪৯ শতাংশ মানুষ। এখানেও বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছে তৃণমূল। মোদীর পক্ষে গেছে অর্ধেকেরও কম, ২১ শতাংশ ভোট।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ২১১ টি আসন। বিজেপি ৩ টি, কংগ্রেস ৪৪ টি এবং বাম দলগুলি ৩২ টি আসন পায়। একুশের নির্বাচনেও যে এর খুব একটা হেরফের হবে না তা এই জনমত সমীক্ষা থেকেই পরিষ্কার।