অক্টোবরের শুরু থেকেই লাগাম পড়েছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ১ হাজারের কম হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিগত কয়েকদিনে বেড়েছে সুস্থ রোগীর সংখ্যাও। যার ফলে সুস্থতার হারও বেড়ে ৯১ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৬৪৮ জন। এর ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৮০ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৫১।
ভারতে শুরু থেকেই কোভিড পরিসংখ্যানের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দেশে কোভিড সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত এবং কোভিড সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কর্ণাটক। চতুর্থ স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। পঞ্চম স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে রাজধানী শহর দিল্লী। মূলত এই ৬ রাজ্যেই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মহারাষ্ট্রে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,৬০,৭৬৬। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে মোট ৪৩,৫৫৪ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৪,৮৬,৯২৬ জন। মহারাষ্ট্রে অ্যাকটিভ রোগী ১,৩০,২৮৬ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮,১৪,৭৭৪। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬৬৪৩ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭,৮১,৫০৯ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে অ্যাকটিভ কেস ২৬,৬৬২। কর্ণাটকে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮,১২,৭৮৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১,০৪৬ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭,৩৩,৫৫৮ জন। কর্নাটকে অ্যাকটিভ কেস ৬৮,১৮০।
তামিলনাড়ুতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭,১৬,৭৫১। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১১,০১৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬,৯৭,৩৭৭ জন। তামিলনাড়ুতে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৬,৩৫৬। উত্তরপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৭৬,০৩৪। মৃত্যু হয়েছে ৬৯৫৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪,৪৩,৫৮৯ জনের। উত্তরপ্রদেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৫,৪৮৭। দিল্লীতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৭০,০১৪। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬৩৯৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৩,৩৪,২৪০ জন। অ্যাকটিভ কেস ২৯,৩৭৮।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭,৩৮৬ জন। মোট সুস্থের সংখ্যা ৭৩,৭৩,৩৭৫ জন। ভারতে এখন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৫,৯৪,৩৮৬। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড টেস্ট হয়েছে ১১,৬৪,৬৪৮ জনের। দেশে এখন সুস্থতার হার ৯১.১৫ শতাংশ।