করোনা আবহে লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়ে বহু মানুষ বেকার হয়েছেন। দেশের যুবসমাজকে ক্রমশ গ্রাস করেছে বেকারত্ব। তাই বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁদের আর্থিকভাবে সাবলম্বী করার লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নিলো রাজ্য সরকার। ফিরহাদ হাকিমের উদ্যোগে তথা রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরের ব্যবস্থাপনায় সম্প্রতি এই বিশেষ প্রদর্শনী তথা বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল শহর কলকাতায়।
রাজ্য নগর জীবিকা মিশন ও স্বয়ংসিদ্ধা প্রকল্পের অধীনে আজ আয়োজিত হয় বিশেষ প্রদর্শনীটি। সূত্রের খবর, সারা রাজ্যে ১২৫টি পুরসভা ও পুরনিগমের ৬৮০০০ স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠিত হয়েছে। নগরোন্নয়ন ও পৌর বিষয়ক বিভাগের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিশেষ উদ্যোগে স্বয়ংসিদ্ধা প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের সমস্ত পুরসভা এলাকার পিছিয়ে পড়া পরিবারের মহিলারা একত্রিত হয়ে স্বনির্ভর দল গঠন করেছে এবং প্রতিটি স্বনির্ভর দল এক কালীন ১০,০০০ টাকা ও স্থানীয় সঙ্ঘ ৫০,০০০ টাকা আবর্তনীয় তহবিলের আওতাভুক্ত হয়েছে। এইসমস্ত স্বনির্ভর দলের মহিলাদের স্বনিযুক্তি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিভিম্ন বিভাগে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তাঁরা নিজেদের উৎপাদিত সামগ্রী বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করে থাকে।
কিন্তু এই বছর করোনা অতিমারীর পরিস্থিতিতে তাঁদের এই দ্রব্য বিক্রি এবং আর্থিক উপার্জন ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁদের আর্থিক অবস্থা আজ এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন। এই পরিস্থিতিতেই তাঁদের পাশে থাকার জন্য রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উদ্যোগে রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থার ব্যবস্থাপনায় সম্প্রতি টানা প্রায় এক সপ্তাহ ব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনী তথা বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল শহরের ঝাঁ-চকচকে একটি মলে।
স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট এজেন্সি বা সুডার অতিরিক্ত অধিকর্তা ও যুগ্ম সচিব শাওন সেন বলেন, “জেলাভিত্তিক বিভিন্ন পুরসভা এলাকাতেও শারদোৎসব উপলক্ষে এই সমস্ত স্বনির্ভর দলের উৎপাদিত দ্রব্যের বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সমস্ত স্বনির্ভর দলের মহিলাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁদের আর্থিক ভাবে সাবলম্বী করার জন্য তাঁদেরই উৎপাদিত বিভিন্ন দ্রব্য বিক্রয় করে তাঁদের সহায়তা করাই আমাদের লক্ষ্য। আগামী দিনেও আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদের কর্মসংস্থানে আমাদের নজর থাকবে।” রাজ্যের এই ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজনে খুশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরাও।