কথায় আছে, মাছের রাজা ইলিশ। ইলিশ ভাপে হোক বা সরষে ইলিশ; পাতুরি হোক কিংবা শুধুই ভাজা, বাঙালির রসনা নিবৃত্তিতে ইলিশের কদর চিরকালই আলাদা। তাই ভোজনরসিক বাঙালির জন্য এবার বড় সুখবর। এই পুজোয় রাজ্যবাসীর পাতে উঠতে চলেছে পর্যাপ্ত ইলিশ মাছ। গতকাল, রবিবার মায়ানমার থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ১০ কন্টেনার অর্থাৎ ২৫০ টন ইলিশ। মহালয়ের দু’একদিনের মধ্যেই তা চলে আসবে হাওড়ার মাছ বাজারে। দ্বিতীয় ধাপে আসবে আরও ২৫০ টন ইলিশ। পুজোর আগে মোট ৫০০ টন ইলিশ পাঠানোর বরাত ছিল। পরে আরও বরাত বাড়ানো হবে বলেই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে যাদের ইলিশ না পসন্দ, তাদের জন্যও রয়েছে বিকল্প। পাবদা থেকে শুরু করে ভেটকি, আড়, বোয়াল সব মাছই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশ থেকে পাবদা, ভেটকি, কাতলা, আড়, বোয়াল, ট্যাংরা মাছের আমদানিও শুরু হয়ে গেছে। রাজ্যের মৎসমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, পুজোর সময় অন্যান্য বছর ইলিশ থাকলেও জোগান কিছুটা কম থাকে। কিন্তু এবার সব রকমের মাছের পর্যাপ্ত জোগান থাকবে। এ বছর গোটা মরশুমেই বাঙালি কম দামে ইলিশ পেয়েছেন। পুজোর সময়ও যাতে বাঙালির মাছের কোনও ঘাটতি না হয়, সে বিষয়ে আমরা নজর রাখব। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। প্রচুর মাছ বাজারে থাকবে।
হাওড়া ফিশ মার্কেট থেকেই মূলত গোটা রাজ্যে মাছ সরবরাহ হয়। ইলিশ, ভেটকি, পমফ্রেট, পাবদা, ট্যাংরার মত মাছ ভিনরাজ্য থেকেই বেশি আসে। আর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভেড়ি এলাকা থেকে আসে চিংড়ি। তারপর হাওড়ার মার্কেট থেকেই তা ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে। হাওড়ার মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মায়ানমার থেকে আগত ২৫০ টন ইলিশ পরের সপ্তাহেই চলে আসবে। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের ৩টি বড় জলাশয়ে প্রচুর পরিমাণে পাবদা, ট্যাংরা, আড়, পারশে মাছ চাষ হয়। সেখান থেকেও লরিতে করে মাছ আসতে শুরু করে দেবে আগামী মঙ্গলবার থেকেই। এক কথায় এবার পুজোয় রাজ্যের সর্বত্র মাছের জোগান পর্যাপ্ত থাকবে বলেই মনে করছে ব্যবসায়ীরা। ফলে দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই।