তাঁর সরকারের জারি করা দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের জেরে দুর্দশা বেড়েছে দেশের দরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষের। ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতিও। বিগত কয়েকমাস ধরেই এই অভিযোগ করে আসছেন বিরোধীরা। সেই বিরোধীদেরই পাল্টা দিতে তাঁদের বিরুদ্ধে গরিবের আত্মসম্মানে আঘাতের অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, ‘স্বনিধি প্রকল্পে’র সহজ ও সস্তার ঋণে ভর করে কী ভাবে পায়ের তলায় নতুন করে মাটি খুঁজে পাচ্ছেন ‘দিন আনা-দিন খাওয়া’ অনেক মানুষ। এ নিয়ে এবার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কটাক্ষ, এই কঠিন পরিস্থিতিতে ধার নয়, বরং আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন ছিল অতিমারিতে অশেষ দুর্গতির মুখে পড়া মানুষগুলোর।
আত্মনির্ভর প্যাকেজের অঙ্গ হিসেবে হকার, ঠেলাওয়ালা, ফুটপাত-বিক্রেতাদের জন্য ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বন্ধক ও গ্যারান্টরহীন ঋণের সুবিধার কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। মঙ্গলবার তেমন ঋণ নেওয়া উত্তরপ্রদেশের প্রায় পৌনে তিন লক্ষ ব্যবসায়ীর উদ্দেশ্যে ভিডিও-বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গরিবের নামে যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা এমন আবহ তৈরি করেছিলেন যেন, দরিদ্রদের ঋণ দেওয়া মানে সেই টাকা আর ফেরত পাওয়া যাবে না।’ এরপরই বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন, দরিদ্রদের দেওয়া ঋণের টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না, এ কথা তাঁরা কখন বলেছেন? তাঁরা তো প্রশ্ন তুলেছেন নীরব মোদী, মেহুল চোকসির মতো রাঘব-বোয়ালদের ব্যাঙ্কে ধারের টাকা শোধ না দেওয়ার বিষয়ে! প্রিয়াঙ্কার কথায়, ‘লকডাউনে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে হকার, ঠেলাওয়ালা, ফুটপাত-বিক্রেতা, ছোট ব্যবসায়ীদের। গিয়েছে রুজি-রুটি।…সস্তার ঋণের বদলে এঁদের প্রয়োজন ছিল আর্থিক সহায়তা।’