প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন বৈঠক করলেন। কিন্তু সাংবাদিক সম্মেলন সারলেন নমো নমো করে। বিতর্কিত কোনও বিষয়ে রা-ও কাড়েননি রাজনাথ। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বিবাদ সংক্রান্ত ইস্যুগুলিও সন্তর্পনে এড়িয়ে যান তিনই। শুধু রোহিঙ্গা ইস্যুতে সাংবাদিকদের নাছোড় প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘রোহিঙ্গা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সমস্ত রাজ্যকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে কেন্দ্র’। ব্যস। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে উঠে পড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আজ, সোমবার নবান্নে ছিল ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও হাজির ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। ছিলেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী ও ওড়িশার অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে আর্থিক প্যাকেজ, ডিভিসি-র জলবণ্টন, ভিনরাজ্যের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ও এনআরসি-সহ একাধিক আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলা ও ওড়িশার সীমান্ত নিয়ে সম্প্রতি দিঘার কাছে উদয়পুরে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের নাম বদল নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে জানা গিয়েছে, বকেয়া অধিকাংশ বিষয়েই সহমত হতে পেরেছে সব পক্ষ। ৫০টি ইস্যুর মধ্যে ৩০টিতেই সহমতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে বৈঠক সফল বলে দাবি করছে সব পক্ষই।
বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে নিয়মরক্ষার সাংবাদিক সম্মেলন করতে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হাতে গোনা কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েই পাশে বসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর আর কিছু বলার নেই জানিয়ে উঠে পড়েন রাজনাথ।