যাচ্ছিলেন দলীয় সভায় যোগ দিতে। কিন্তু রাস্তাতেই গুলি করে খুন করা হল মিজানুর রহমান সর্দার (১৮) নামের এক তৃণমূল কর্মীকে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরও ২ তৃণমূল কর্মী ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির দিকে। ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
একদিন আগেই কোচবিহারে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এবার একই ঘটনা ঘটল ক্যানিংয়ে। রাজ্য জুড়ে উন্নয়ন স্তব্ধ করতে এভাবেই বিজেপি বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের খুন করছে বলে অভিযোগ করেন ক্যানিংয়ের তৃণমূল নেতা শৈবাল লাহিড়ী। তাঁর দাবি, ‘এলাকায় কিছুদিন ধরে বিজেপি ও আরএসএস মিলে গোলমাল চালাচ্ছিল। তাদের উসকানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবি জানাচ্ছি’। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
জানা গেছে, মৃত মিজানুর রহমান সর্দারের বাড়ি ক্যানিংয়ের গোলাবাড়িতে। আহত মুশা শেখ অ সমতুল গায়েনও গোলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে নব নির্বাচিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিমা শেখকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ক্যানিংয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে তৃণমূল কর্মীরা মিছিল করে আসছিলেন। ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি এলাকা থেকে আসা মিছিলে ছিলেন মিজানুর, মুশা, সমতুলরা। অভিযোগ, আচমকা মিছিল লক্ষ্য করে শুরু হয় এলোপাথাড়ি বোমাবাজি। তারপরেই চলে গুলি। একটা গুলি এসে লাগে মিজানুরের বুকে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে তুলতে ছুটে আসেন মুশা। সেইসময় তাঁর হাতে গুলি লাগে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন সমতুল। এরপরেই আক্রমণকারীদের তাড়া করেন এলাকার মানুষ। তারা বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে এলাকা ছেড়ে পালায়।