ফের আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল হায়দ্রাবাদের একটি টেলিকম সরঞ্জাম উৎপাদনকারী সংস্থা এবং তার মালিকদের বিরুদ্ধে। এর ফলে নীরব মোদী, মেহুল চোকসিদের ঋণের ধাক্কা সামলানোর আগেই নতুন করে প্রতারণার ফাঁদে পড়ল পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি)-র অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সংস্থা এবং তার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে সিবিআই। তল্লাশিতে এখনও খোঁজ মেলেনি অভিযুক্ত সংস্থার তিন শীর্ষকর্তার।
হায়দরাবাদে সংস্থার অধিকর্তার বাড়ি এবং অফিস সহ তিন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। সংস্থার অধিকর্তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে। এমনিতেই নীরব মোদি এবং মেহুল চোকসির প্রতারণার জেরে সাড়ে ১৩ হাজার কোটির আর্থিক দেনায় ডুবে রয়েছে পিএনবি। এর উপর টেলিকম সরঞ্জাম উৎপাদনকারী সংস্থার প্রতারণায় আরও ফাঁপড়ে পড়ল এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সিবিআইয়ের কাছে পিএনবি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করে যে, ১৭০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দেয়নি ওই সংস্থা। এর মধ্যে পিএনবির ৫৩৯ কোটি টাকা ছাড়াও রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক, কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক, অন্ধ্র ব্যাঙ্ক ও একটি আর্থিক সংস্থার ১২০৭ কোটি টাকা। ওই টাকাও ঋণ হিসাবে নেওয়া।
পিএনবির অভিযোগ, ২০০৯ সালের ১২ আগস্ট ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসাবে ১ হাজার ১০ কোটি টাকা ঋণ নেয় ভিএমসি সিস্টেমস। এরপরেই ব্যাঙ্ক গোষ্ঠীর থেকে পাওয়া ঋণের টাকা অন্যত্র সরিয়ে দেন কোম্পানির ডিরেক্টরেরা। এভাবে ২০১৩-এর ১ এপ্রিল থেকে ২০১৪-র ৩০ এপ্রিলের মধ্যে অনুমতি ছাড়াই প্রায় ৪৪ কোটি টাকা অন্যত্র সরানো হয় বলে অভিযোগ। ভিএমসি-র দাবি, বিএসএনএলের কাছে বকেয়া ২৬২ কোটি টাকা না পাওয়াতেই তারা ঋণ শোধ করতে পারেনি। কিন্তু ব্যাঙ্ক খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, বিএসএনএলের কাছে কোম্পানির বকেয়া মাত্র ৩৩.০৯ কোটি টাকা। এ ছাড়াও সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয় আরও কয়েকটি কোম্পানির কাছ থেকে তারা পাবে ৩৫২.৯৯ কোটি টাকা। কিন্তু এসবিআই ওই সব কোম্পানিতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে বকেয়া নিয়ে ভিএমসির দাবি ভুয়ো। এরপরেই ওই সংস্থার ৩ কর্তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করে সিবিআই।