কৃষি বিলের বিরোধিতা করায় কপালে জুটেছিল পাকিস্তানি তকমা। এই আচরণের প্রতিবাদ করে দল ছাড়লেন পাঞ্জাব বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মালবিন্দর সিং কাং। তাঁর দলীয় সদস্যপদ ত্যাগ পাঞ্জাবে বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পাঞ্জাবের গেরুয়া শিবিরে শিখ নেতার সংখ্যা হাতেগোনা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মালবিন্দর। দল ছাড়ার আগে শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কৃষি আইন নিয়ে একগুয়েমির অভিযোগ করেছেন মালবিন্দর। তাঁর কথায়, ‘হরিয়ানা, পাঞ্জাবের প্রতিটি মানুষ এই আইন বিরোধী। তাই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কৃষকদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু বিল পাশের সময় দলের কোর কমিটির সদস্য হিসাবে আমার কথা গ্রাহ্য করা হয়নি।’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘এই বিল নিয়ে কথা বলতে গেলে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুগ আমাকে পাকিস্তানি তকমা দেন।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি চণ্ডীগড়ে যখন আসেন তখনও কৃষকদের সমস্যার কথা তাঁকে বলেছিলেন মালবিন্দর। কিন্তু তিনিও সমস্যা সমাধানে কোনও সদিচ্ছা, পরামর্শ শোনার মতো ধৈর্য্য দেখাননি বলে অভিযোগ মালবিন্দরের। এরপরই তাঁর কটাক্ষ, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেটা করেন সেটাকেই সর্বদা ঠিক বলা বিজেপি নেতাদের অভ্যেস। তাঁদের নিজস্ব কোনও মতামত নেই।’ তিনি শিরোমণি অকালি যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে। তারপর দক্ষ সংগঠকের পরিচয় দিয়ে সাধারণ সম্পাদকের পদ পান। কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিজেপি নেতার দল ছাড়া, গেরুয়া শিবিরকে আরও বিপাকে ফেলবে বলে আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল।