চীন ইস্যু নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই ল্যাজেগোবরে অবস্থা মোদী সরকারের। কোনও মতেই চীনকে বাগে আনা সম্ভব হচ্ছে না তাদের পক্ষে। এর কারণ মূলত একটাই। আলোচনা ও আগ্রাসন দু’টোই কার্যত এক সঙ্গে চালায় চীন। আর গত জুনে গালওয়ানে চীনের সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষ বিরাট প্রভাব ফেলেছে দু’দেশের সম্পর্কে। একথা মেনে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। শুক্রবার এশিয়া সোসাইটির ভারচুয়াল সভায় একথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন লালফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হন। নিহত চীনা সেনার সংখ্যা জানা যায়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, এর পর থেকেই চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে গভীর ফাটল ধরেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুডের সঙ্গে যৌথভাবে তাঁর লেখা বই ‘দ্য ইন্ডিয়ান ওয়ে: স্ট্র্যাটেজিস ফর অ্যান আনসার্টেন ওয়ার্ল্ড’-কে নিয়ে এদিনের প্রায় ঘণ্টাখানেকের আলোচনার সময়ই বিদেশমন্ত্রী চিনের প্রসঙ্গে এই কথাগুলি বলেন।
গত মাসে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। সেই বৈঠক প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, চীনের বিদেশমন্ত্রীর কাছ থেকে তিনি লাদাখে চিনের আচরণের কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা পাননি। চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের বিষয়টিও উঠে আসে তাঁর কথায়।
তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালে দুই দেশের মধ্যে একাধিক মৌ স্বাক্ষরিত হয় নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে। ধারণাগত থেকে আচরণগত স্তর, সর্বত্রই দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে পদক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু এবছর লক্ষ্য করা যাচ্ছে, গত ৩০ বছরের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। সীমান্তে লালফৌজের সংখ্যা বাড়িয়ে চীন সেই চুক্তির পরিপন্থী কাজ করেছে বলেও জানান তিনি।