‘আরে হম তো ফকির আদমি হ্যায়, ঝোলা লেকে নিকল পড়েঙ্গে…’। একাধিকবার একাধিক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একথা বলতে শোনা গিয়েছে। আসলে কিন্তু আদৌ ‘ফকির’ নন নরেন্দ্র মোদী। রীতিমতো কোটি টাকার মালিক তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর বলছে, এই মুহূর্তে মোদীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ নয় নয় করতে করতে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে স্রেফ গত একবছরেই মোদীর সম্পত্তি বেড়েছে ৩৬ লক্ষ টাকার।
আসলে, নিজেকে গরিব ঘরের অভাবী সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতেই পছন্দ করেন প্রধানমন্ত্রী। বারবার তাঁর মুখে শোনা যায় গুজরাতের ভাদনগর স্টেশনে চা বিক্রির কথা। এই ‘চাওয়ালা’ পরিচয়ই রাজনীতির আঙিনায় প্রতিষ্ঠিত করেছে তাঁকে। দীর্ঘদিন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদী, দেশের প্রধানমন্ত্রী পদেও আছেন ৬ বছর। স্বাভাবিকভাবেই আগের মতো নুন আনতে পান্তা ফুরনোর পরিস্থিতি যে তাঁর থাকবে না, সেটা বলে দেওয়ায় যায়। বস্তুত এই মুহূর্তে কোটিপতি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। আগের বছর ছিল ২ কোটি ৪৯ লক্ষ। অর্থাৎ গত এক বছরে তা বেড়েছে ৩৬ লক্ষ। আসলে এই একবছরে মোদীর ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বেড়েছে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। আর ৩৩ লক্ষ টাকা তিনি স্থায়ী বিনিয়োগের থেকে ফেরত পেয়েছেন। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় নিজের সম্পত্তির হিসেব দিয়েছিলেন মোদী। যাতে দেখা যায়, মাত্র ৫ বছরে তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে ৫২ শতাংশ।
অন্যদিকে মোদীর সম্পত্তি বাড়লেও সামান্য কমেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মোট সম্পত্তির পরিমাণ। ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেখানে ৩২.৩ কোটি টাকার মালিক ছিলেন, ২০২০’র জুন মাসে এসে সেটা কমে হয়েছে ২৮.৬৩ কোটি টাকা। অমিত শাহর স্ত্রী সোনাল শাহর সম্পত্তিও গতবারের তুলনায় সামান্য কমেছে। শোনাল শাহর মোট সম্পত্তি গতবছর ছিল ৯ কোটি। এবার তা কমে হয়েছে ৮ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা।