গত কয়েক বছরের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও যা সম্ভব হয়নি, এবার সেটাই হল। করোনা আবহের মধ্যেও প্রায় এক কোটি টাকা বকেয়া কর সংগ্রহ করল উত্তর ২৪ পরগণার খড়দহ পুরসভা। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে সেখানকার পুরকর্মীদের কর্মতৎপরতা দেখে উচ্ছ্বসিত পুর কর্তৃপক্ষ। খড়দহের দেখাদেখি আশপাশের পুরসভাগুলিও কোন পদ্ধতিতে কর আদায় হয়েছে, তা নিয়ে খড়দহের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিতে চাইছে। সকলেই একই পথে বকেয়া কর আদায়ে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
খড়দহ পুরসভার বছরে ২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা কর আদায় হওয়ার কথা। বাড়ির কর, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কারখানা সবই এর মধ্যে আছে। কিন্তু করোনার কারণে আচমকা লকডাউন হওয়ায় বিপাকে পড়ে পুরসভা। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত কর সংগ্রহ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। মাথায় হাত পড়ে পুর কর্তৃপক্ষের। বিশেষ করে যারা অস্থায়ী কর্মী, তাঁদের একাংশের বেতন কী করে দেওয়া হবে তা পুর কর্তৃপক্ষের চিন্তার শেষ ছিল না। এরপরই পুর প্রশাসক কাজল সিনহার নির্দেশে কর আদায় বিভাগের কর্মীরা কর সংগ্রহে নামেন। কখনও বাড়ি বাড়ি গিয়ে, কখনও আবার চিঠি দিয়ে কর মেটানোর আবেদন জানায় পুরসভা। আর এতেই মেলে সাফল্য।
খড়দহের পুরপ্রশাসক কাজল সিনহা এই বিষয়ে বলেন, “করোনার মধ্যেও পুরকর্মীদের তৎপরতায় এই সাফল্য এসেছে। করদাতারাও সহযোগিতা করেছেন এবং করছেন।” প্রসঙ্গত, লকডাউন থাকা সত্ত্বেও জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেই চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষের চাহিদার প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ পুরসভা আদায় করে ফেলেছে। টাকার অঙ্কে যা প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি। যেটুকু বাকি রয়েছে তা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সংগ্রহ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী রয়েছে খড়দহ পুরসভা। শুধু চলতি বছর নয়, ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষের প্রায় দু’কোটি টাকাও পুরসভা আদায় করে ফেলেছে।