হাতে আর বেশিদিন বাকি নেই। নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণা করার পর থেকেই ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে বিহারে। তবে এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে, ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত বিহারের এক তৃতীয়াংশের বেশি সাংসদ-বিধায়ক। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ থেকে শুরু করে খুন, হেনস্থা, দুর্নীতি ইত্যাদি বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা অভিযুক্ত বিহারের বিভিন্ন দলের সাংসদ ও বিধায়করা। ২০০৫ সালের পরের হিসেব এটা।
দেখা গেছে, রাজ্যের সাংসদ ও বিধায়ক মিলিয়ে ৮২০ জনের মধ্যে ২৯৫ জন নেতা নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্ত। এঁদের মধ্যে বিজেপির টিকিটে জিতে এসেছেন ৮৪ জন, এবং বিজেপির এনডিএ শরিক জেডিইউ–র ১০১ জন রয়েছেন। প্রার্থীদের হলফনামা থেকে রিপোর্ট তৈরি করে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস। রিপোর্ট বলছে, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের টিকিটে জিতে এসেছেন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ৬২ জন সাংসদ ও বিধায়ক। ১৭ জন কংগ্রেসের এবং ১১ জন এলজেপির নেতাও রয়েছে ওই তালিকায়।
একটি নির্দিষ্ট দলের মোট সাংসদ ও বিধায়কদের মধ্যে কতজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ রয়েছে, তার নিরিখে অবশ্য এগিয়ে বিজেপি শরিক এলজেপি। ২০০৫ সালের পর থেকে জিতে আসা মোট ২৭ জন সাংসদ বিধায়কদের মধ্যে ১১ জনই গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত, অর্থাৎ ৪১ শতাংশ। ঠিক পরেই রয়েছে আরজেডি, ৩৯ শতাংশ। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে আসা ৪৬ জন সাংসদ ও বিধায়কদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে এখনও মামলা চলছে, অর্থাৎ ৩৭ শতাংশ। বিজেপি ও জেডিইউ–এর ৩৪ শতাংশ সাংসদ ও বিধায়কই গুরুতর ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত।