গত শুক্রবার যোগী রাজ্যের হাথরাসে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার পথে বাধা পেয়েছিলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেখানে রীতিমত শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় কংগ্রেসের এই দুই শীর্ষ নেতৃত্বকে। এরপর হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করায় ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের নামে এফআইআর হয়। আর এবার হাথরাসে যাওয়ার পথে গ্রেফতার হলেন কেরালার এক সাংবাদিক ও আরও ৩ ব্যক্তি। অভিযোগ, তাঁদের পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগ রয়েছে। সিএএ নিয়ে উত্তরপ্রদেশে প্রতিবাদ করেছিল এই সংগঠন। সংগঠনটিকে অনেকদিন থেকেই নিষিদ্ধ করতে চায় যোগী সরকার।
হাথরাসের পথে একটি চেকপোস্টে চার জনের গাড়ি থামিয়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ধৃতদের নাম আতিক–উর রহমান, সিদ্দিকি কাপ্পান, মাসুদ আহমেদ, আলম। তাঁদের মোবাইল, ল্যাপটপ, বইপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জেরায় তাঁরা জানিয়েছেন, পিএফআই–এর সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁদের। এই পিএফআই আবার ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার শাখা সংগঠন।
কেরলের কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন জানিয়েছে, সিদ্দিকি কাপ্পান এক জন সাংবাদিক। সংগঠনের দিল্লী শাখার সম্পাদক তিনি। সাংবাদিকদের সংগঠন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখেছে। তাতে জানিয়েছে, “আমরা বুঝতে পেরেছি হাথরাস টোল প্লাজা থেকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কাপ্পানকে আটক করেছে। আমরা এবং দিল্লীর কয়েকজন আইনজীবী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারিনি। তাঁকে হেপাজতে নেওয়ার বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ বা হাথরাস পুলিশ কোনও তথ্য দেয়নি।”