‘রামরাজ্যে’ প্রজারা যে আদৌ সুখে নেই, তা বিগত কয়েক বছরে একের পর এক ঘটে চলা খুন, রাহাজানি, ধর্ষণের ঘটনাই প্রমাণ দেয়। যোগী সরকারের আমলে সেখানে ধর্ষণের ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। হাথরস-কাণ্ডের পরেও গত কয়েক দিনে এই ধরনের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। কী ভাবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, এই বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংহের কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক। তাতেই ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন এই বিতর্কিত বিজেপি বিধায়ক।
তিনি বলেন, “ছোট থেকে সুশিক্ষায় বড় করতে হবে মেয়েদের। তাহলেই ধর্ষণের ঘটনা এড়ানো যাবে। ধর্ষণের ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়ে চলার সঙ্গে শাসনব্যবস্থার কোনও যোগ নেই। বরং বাবা-মায়েরা মেয়েদের কী ভাবে বড় করছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন যে, “বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি আমি এক জন শিক্ষকও। এই ধরনের ঘটনা রুখতে হলে মেয়েদের উচিত শিক্ষা দিতে হবে। ক্ষমতা প্রদর্শন করে এ সব রোখা যাবে না।’’ হাথরসের ঘটনায় এমনিতেই বেকায়দায় যোগী আদিত্যনাথের সরকার। তার মধ্যেই এমন মন্তব্য করে অস্বস্তি আরও বাড়ালেন সেখানকার বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংহ।
সুরেন্দ্র সিংহ আরও বলেন, ‘‘ধর্ষণ রোখা যেমন সরকারের ধর্ম, তেমনই পরিবারের উপরও এই দায় বর্তায়। সরকার তো নিরাপত্তা দেবেই, কিন্তু মেয়েকে ভাল শিক্ষা দেওয়া, তার মনে নীতিবোধ ঢুকিয়ে দেওয়া পরিবারেরই কর্তব্য। সংস্কার এবং সরকার, এই দুইয়ে মিলেই ভারত আরও সুন্দর হয়ে উঠবে। এর অন্য কোনও বিকল্প নেই।’’ প্রসঙ্গত, বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য পরিচিত সুরেন্দ্র সিংহ। নাথুরাম গডসে সন্ত্রাসবাদী নয়, মহাত্মা গান্ধীকে মেরে সে ভুল করে ফেলেছে বলে গত বছর মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি সেইসময়। এমনকি বাঙালির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও লক্ষ্য করেও তিনি এবছর কদর্য ভাষায় মন্তব্য করেছিলেন।