ধর্ষিত নির্যাতিতার মৃত্যুতে পুলিশ তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হাথরস। রাহুল প্রিয়াঙ্কার পর নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্রকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় যোগীর পুলিশ। এমনকী মমতাবালা ঠাকুরের ব্লাউজ ধরে টানার অভিযোগ উঠেছে। সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ করেছেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘আমরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম কিন্তু সেখানে আমাদের ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা কিছুটা জোর করে ঢুকতে চাইলে মহিলা পুলিশকর্মীরা আমাদের ব্লাউজ ধরে টানে এবং আমাদের সঙ্গে থাকা সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের ওপর লাঠিচার্জও করে। তিনি পড়ে গেল পুরুষ পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে ধরে তোলে। পুরো ঘটনাটাই খুব লজ্জাজনক।’
সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের অভিযোগ, ‘আমাদের বাধা দিলে আমরা উত্তরপ্রদেশের পুলিশের কাছে অনুরোধ জানাই যে অন্তত যাতে আমাদের দু’জন মহিলাকে যেতে দেওয়া হোক। কিন্তু সে সময় প্রেমপ্রকাশ মীনা নামে এক পুলিশ আধিকারিক আমাকে ধাক্কা দেন। এটা পরিষ্কার যে এই উত্তরপ্রদেশের সরকার বা মোদী সরকার কোনওদিনই নারী সুরক্ষা দিতে পারবে না।’
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘ডেরেককে ঠেলে ফেলা দেওয়া হয়েছে। হয়তো তিনি আঘাতও পেয়েছেন। তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। একদন সাংসদের সঙ্গে এ কাজ কী করে করেত পারে পুলিশ!’ কাকলির প্রশ্ন, ‘আমরা কি নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জানাতে পারি না?’ এইকসঙ্গে কাকলির অভিযোগ, ‘নির্যাতিতার বাবাকে ভয় দেখাচ্ছেন জেলাশাসক। তিনি তাঁকে হুমকি দিয়ে বলছেন – আজ গ্রামে সংবাদমাধ্যম রয়েছে, কাল কিন্তু চলে যাবে। পরে আমাদের সঙ্গেই থাকতে হবে।’