ফের বিতর্কিত মন্তব্য প্রাক্তণ বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজুর। আর পাঁচ জন যে ভাবে ভাবেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সে ভাবনার ধারেকাছে যান না। নিজের মতো ব্যাখ্যা দেন। তিনি মানেই বিতর্ক কিংবা কোনো সমালোচনা মূলক কথায় ইন্ধন যোগানো। উত্তরপ্রদেশের হাথরসের দলিতকন্যা ধর্ষণ নিয়ে এই মুহূর্তে গোটা দেশ ক্ষোভে ফেটে পড়ছে। এমন একটা সময়ে হাথরসের ঘটনার সূত্র ধরে ধর্ষণ বাড়ার উদ্ভট এক ব্যাখ্যা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন এই বিচারপতি।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মার্কন্ডেয় কাটজু লিখেছেন, দেশে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ার পিছনে অন্যতম একটা কারণ বেকারত্ব বেড়ে চলা। এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তাঁর কথায়, ‘যৌনতা পুরুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। একজন পুরুষ বিয়ে করে সেই তাগিদ মেটায়। কিন্তু, এই বেকারত্বের যুগে পুরুষের পক্ষে বিয়ে করাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যৌনতার এই ঘাটতি তাকে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’ আর এই বক্তব্যের উপর ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নেটিজেনরা। তাদের বক্তব্য, ধর্ষণ একটি নিম্ম মানসিকতার পরিচয়।
কাটজু এ-ও বলেন, ‘আমি আরও একবার একটা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি ধর্ষণকে ন্যায়সঙ্গত করছি না, বরং এর নিন্দা করছি। কিন্তু, দেশের পরিস্থিতি, প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বলছি এটা বাড়তে বাধ্য। তাই সত্যি যদি আমরা ধর্ষণ কমাতে চাই, এমন একটা সমাজ বা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যার মধ্য দিয়ে বেকারত্ব আর থাকবে না। বা থাকলেও খুব কম।’ কাটজু যে ভাবে ধর্ষণের ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে অনেকেই ক্ষুব্ধ। তাঁর বিচিত্র ভাবনায় বিরূপ সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে।