টানা ১৫ দিনের লড়াইয়ের পরেও শেষরক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার দিল্লীর সফদরজঙ্গ হাসপাতালে জীবনের লড়াই থেমে গিয়েছিল হাথরসের নির্যাতিতার। পরিবারের শেষ ইচ্ছা ছিল একটাই, বাড়ির মেয়ের শেষকৃত্যটা যে বিধি মেনে হয়। কিন্তু সেটাও হয়নি। পরিবারের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও জোর করে বাড়ি থেকে কিছু দূরের এক গমক্ষেতে নির্যাতিতার দেহ দাহ করে বিশাল পুলিশবাহিনী। রাতের অন্ধকারে তাঁর মুখটা শেষ বারের মতো ভাল করে দেখতেও পাননি কেউ। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে ঘন ঘন পুলিশের মুখ দেখতে পাচ্ছেন ওঁরা। ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকছেন সবাই। কখন আবার পুলিশ এসে কাকে জোর করে তুলে নিয়ে চলে যায়, সেই আতঙ্কে সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে কথা বলতেও ভয় পাচ্ছেন। ভাইবোনেরা শুধু জানাচ্ছেন, বাবা আর দুই পরিজনকে বুধবার দুপুরে ফের উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পিডব্লিউডি ভবনে নিয়ে গিয়েছে।
নির্যাতিতার ভাইয়ের অভিযোগ, ‘আমরা যাতে মুখ না খুলি, সেই জন্যই আমাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছে যাতে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সরে আসি, বোনের মৃত্যুর বিচার না চাই। কিন্তু আমরা এখনও লড়াই করে চলেছি।’ নির্যাতিতার ভাই জানান, তাঁর বোনের দেহ দিল্লীর সফদরজং হাসপাতাল থেকে হাথরসের গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত আনতে দেওয়া হয়নি। বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও গোটা পরিবারকে কার্যত ঘরে আটকে রেখে দলিত, ধর্ষিত মেয়েটির দাহকাজ সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতারা কেউ এসেছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে নির্যাতিতার ভাই জানান, ‘কেউ আমাদের পাশে নেই। সবাই দোষীদের আড়াল করছে। আমাদের কী হবে, জানি না। যাতে কোনও কথা না বলি, সেই চাপ দেওয়া চলছে সমানে।’