কিছু মাস আগেই মধ্যপ্রদেশ থেকে নিয়ে আসার সময় কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে এনকাউন্টারে খতম করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সে সমহ দেশের বিরোধীরা যোগী সরকারের বিরোধিতা করে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে ওই এনকাউন্টার পুলিশের সাজানো। বিকাশের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রশাসন এবং রাজনৈতিক মহলের যোগ থাকায় পরিকল্পনা করেই হত্যা করা হয়েছে তাকে। যাতে বহু পাকা মাথাকে রেহাই দেওয়া যায়। এবার ফের সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল যোগী রাজ্যে। বিকাশ দুবের পর এবার ফিরোজ আলি। দুষ্কতীকে ধরে আনার পথে ফের উল্টে গেল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গাড়ি। এ বারে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ বছর বয়সি ‘গ্যাংস্টার’ ফিরোজ আলি ওরফে শমী-র।
রবিবার রাতে ভোপাল থেকে ২১৪ কিলোমিটার দূরে গুনায়, ৪৬ নম্বর জাতীয় সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানাচ্ছে, মুম্বইয়ে গ্রেফতার করে ফিরোজকে লখনউয়ে নিয়ে যাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দল। ধৃতের শনাক্তকরণের জন্য সঙ্গে নেওয়া হচ্ছিল ফিরোজের আত্মীয় আফজলকে। রবিবার রাতে গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়ে। রাজগঢ়ের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ফিরোজ়কে মৃত ঘোষণা করা হয়। আফজল, পুলিশের এএসআই জগদীশ পাণ্ডে, কনস্টেবল সঞ্জীব সিংহ ও গাড়িচালক সুলভ মিশ্র জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুনার পুলিশ সুপার রাজেশকুমার সিংহ জানিয়েছেন, আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
রাজগঢ়ের এসপি প্রদীপ শর্মা জানিয়েছেন, বহরাইচের বাসিন্দা ফিরোজের বিরুদ্ধে ‘উত্তরপ্রদেশ গ্যাংস্টার অ্যান্ড অ্যান্টিসোশ্যাল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট’-এ বেশ কয়েকটি মামলা ছিল লখনউয়ের ঠাকুরগঞ্জ থানায়। ছ’বছর ধরে ফেরার ছিল সে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ খবর পায়, সে এখন মুম্বইয়ের নালাসোপারায় থাকে। পুলিশের একটি দল গিয়ে সেখানে প্রথমে আফজলকে তোলে ও তার পরে ফিরোজকে গ্রেফতার করে লখনউয়ের পথে রওনা দেয়। গাড়িচালক সুলভ পুলিশকে জানিয়েছেন, পথে একটি নীলগাই এসে পড়ায়, সেটিকে বাঁচাতে গিয়েই বেসামাল হয়ে পড়েছিল গাড়ি। এই ঘটনা মনে পড়াচ্ছে বিকাশের এনকাউন্টারের দিনের কথাই। আর স্বভাবতই এ নিয়ে তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক।