বলিউডে ক্রমশ জটিল হচ্ছে মাদকযোগ। যেই জট ছাড়াতে রীতিমতো তৎপর নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ছাড় পাচ্ছেন না অভিনেতা থেকে শুরু করে পরিচালকরাও। ইতিমধ্যেই জেরা করা হয়েছে দীপিকা, সারা, রাকুল, শ্রদ্ধার মতো প্রথম সারির অভিনেত্রীদের। যদিও, দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর চার অভিনেত্রীর প্রত্যেকেই দাবি করেছেন, তাঁরা কোনওদিনই মাদক নেননি। তবে তদন্তের স্বার্থে চারজনেরই ফোন নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এনসিবি-র তদন্তের জল গড়িয়ে এ বার পৌঁছেছে এই নায়িকাদের আর্থিক সঞ্চয় পর্যন্ত। বিশেষ সূত্রে খবর, এই চার বলি অভিনেত্রীর ক্রেডিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্টও খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। ইতিমধ্যেই তাঁদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকার লেনদেন খতিয়ে দেখা হয়েছে। মূলত কোনও মাদক বিক্রেতার সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা, তা দেখার জন্যই এই পদক্ষেপ।
যদিও এনসিবি-র এই আকস্মিক তৎপরতার মধ্যে রাজনীতির গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। মনে করা হচ্ছে, জানুয়ারি মাসে সঙ্ঘ পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে জেএনইউ-র ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোই কাল হল দীপিকার। সেই ঘটনার পর থেকেই বিজেপি স্বঘোষিতভাবে দীপিকা বিরোধী। এও বলা হচ্ছে, তদন্তও ঠিক করে না এগোনোয় মানুষকে ভুলিয়ে রাখতে মাদকাসক্তির বিষয়টিকে আরও বড় ভাবে দেখানো হচ্ছে। সামিল করা হয়েছে সারা, শ্রদ্ধা, রাকুলের মতো নামকেও। যদিও এর পর থেকেই শ্রদ্ধার ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ারের সংখ্যা আচমকাই ঊর্ধ্বমুখী। সামনেই বিহারের ভোটের কথা মাথায় রেখে কি বলিউডের মাদকাসক্তিকে ‘ইস্যু’ করছে নরেন্দ্র মোদী, নীতীশ কুমারের দল? উঠছে প্রশ্ন।