করোনা ভাইরাস অতিমারীর জেরে টান ছ’মাস এবং এপ্রিল-জুন মাসেও জিডিপির ২৩.৯ শতাংশ হ্রাসের জেরে অর্থনীতি ক্রমশই মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। অবশেষে স্বীকার করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্মলা সীতারমণ বলেন, ‘ছয় মাস সত্যিই চ্যালেঞ্জগুলি কমেনি তবে চ্যালেঞ্জের প্রকৃতি বদলেছে এবং মন্ত্রকের যে পরিস্থিতিটি ছিল তার চেয়ে এখন অনেকটাই দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে।’ অর্থমন্ত্রী এও জানান যে জন সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সতর্কতা-সহ বিভিন্ন কারণে প্রতি লক্ষে মৃত্যু সংখ্যা এবং মৃত্যুর অনুপাত উভয়ই কম ছিল। তবে কোভিড -১৯ এখনও খুব উদ্বেগের বিষয়।
ভ্যাকসিন নিয়েও কিছুটা উদ্বেগের সুর শোনা যায় নির্মলা সীতারমণের গলায়। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এই মুহুর্তে সম্ভাব্য কোনও ভ্যাকসিন নেই। কোনও নির্দিষ্ট সময়ও নেই যার মধ্যে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। অনেক জায়গা থেকেই রিপোর্ট এসেছে পুনসংক্রমণের খবর। আর সেই সমস্ত অনিশ্চয়তাই ছোটো ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মনে প্রভাব ফেলছে।’
এর ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষত পরিষেবা খাতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে, যা জিডিপির প্রায় ৫৫ শতাংশ। তিনি এও বলেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকরা শিল্পে ফিরে আসছেন এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে রফতানিও (উদাহরণস্বরূপ) বিদেশী চাহিদা বাড়ার গতিতে দেশীয় চাহিদার চেয়ে বেশি বেড়েছে।’