এটিকের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে মোহনবাগান কয়েকমাস আগেই আইএসএলের গ্ল্যামার দুনিয়ায় পা রেখেছে। আর এবার সদ্য শতবর্ষ পূরণ করা ইস্টবেঙ্গলও নিজের নাম লিখিয়ে ফেলল আইএসএলে। রবিবার এফএসডিএল-এর ঘোষণার পরে উল্লসিত অগণিত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। তবে শুধু তারাই নয়, ক্লাবের এবং কলকাতা ময়দানের প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচেরাও ভীষণ খুশি ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে যোগদান করায়।
প্রাক্তন ফুটবলার সুকুমার সমাজপতি বললেন, ‘‘আমি খুব খুশি। যখন মোহনবাগান এটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আইএসএলে চলে গিয়েছিল, আর ইস্টবেঙ্গল নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য ছিল না, তখন খুব কষ্ট হত। ভাবতাম, ভারতের সেরা ক্লাব কেন দেশের সেরা লিগে খেলবে না? অবশেষে সেই দুঃখ দূর হল।’’ ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ শ্যাম থাপা আবার বলছেন, ‘‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ছাড়া যেমন বিশ্বকাপের আর্কষণ থাকে না, তেমনই মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল না থাকলে ভারতের কোনও প্রতিযোগিতা সফল হতে পারে না। নব রূপের ডার্বি আইএসএলের আকর্ষণ বাড়াবে।’’
শুধু ফুটবলার হিসাবে নয়, কোচ হয়েও ইস্টবেঙ্গলে তাঁর মত সাফল্য খুব কমজনই পেয়েছেন। কয়েকমাস আগেও বলেছিলেন, ইস্টবেঙ্গল আইএসএলের জন্য না, আইএসএল ইস্টবেঙ্গলের জন্য অপেক্ষা করবে। তাঁর কথা সত্য প্রমাণিত হওয়ায় খুশি আসিয়ান কাপ জয়ী কোচ সুভাষ ভৌমিক। তাঁর কথায়, ‘‘১০০ বছরের সাফল্যের ইতিহাসপূর্ণ ক্লাবকে বাদ দিয়ে আইএসএল হতে পারে না।’’ লাল-হলুদ শিবিরের ঘরের ছেলে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘এটা শতবর্ষের সাফল্য। সমর্থকদের সব হীনমন্যতা কেটে গেল।’’
খুশি হয়েছেন দুই প্রধানে একসময় সাফল্যের সাথে খেলা ময়দানের প্রাক্তন গোলকিপার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আইএসএল এবার অক্সিজেন পাবে।’’ কোনোদিন ইস্টবেঙ্গলে খেলেননি। খেলোয়াড় জীবনের শেষদিন অবধি কাটিয়েছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানে। সেই ক্লাবের ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্যও বলছেন, ‘‘আইএসএল উজ্জ্বল হল মোহনবাগানের পরে ইস্টবেঙ্গল আসায়।’’ সমরেশ চৌধুরী আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার খবর শুনে। তিনি বললেন, ‘‘বছরের সেরা খবর পেলাম। মোহনবাগান খেলবে শোনার পরে খুব রাগ ও অভিমান হয়েছিল। আজ ইস্টবেঙ্গলের খেলার খবর শুনে সেই যন্ত্রণা দূর হয়ে গেল।’’