কৃষি বিলের বিরুদ্ধে তোলপাড় পাঞ্জাব। রাজ্যের কৃষক সংগঠনগুলির ‘রেল রোকো’ কর্মসূচির জেরে রাজ্যজুড়ে বাতিল করা হল ২৮টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। বিক্ষোভারীদের সরিয়ে ট্রেন কখন চালু হবে তা বলতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বিক্ষোভের মেয়াদ ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে কৃষকরা।
করোনা সতর্কতা মাথায় তুলে রাজ্যের একাধিক ট্রেন লাইনে বসে পড়েছেন কৃষকরা। অবরোধ করা হয়েছে বহু জাতীয় সড়কও। তদের দাবি, কৃষকদের সঙ্গে কথা না বলেই পাশ করা হয়েছে কৃষি বিল। এই বিল চাষিদের স্বার্থের পরিপন্থী। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন কৃষকরা। কোনও রাজনৈতিক দলকে বিক্ষোভে সামিল হতে দেওয়া হয়নি। কারণ কেন্দ্র বলছে, চাষিদের বিপথে চালিত করছে বিরোধীরা।
পঞ্জাবের কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ সমিতির সেক্রেটারি স্বর্ণ সিং সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের কথায় এমন বিল এনেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা অর্ডিন্যান্স পড়ে দেখেছি। এখন উনি বলছেন চাষিদের তাতাচ্ছে বিরোধীরা। এরকম কথার কোনও অর্থ হয় না। উল্লেখ্য, শুক্রবরাই কৃষিবিলের বিরুদ্ধে ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটি। ওই বনধে যোগ দেয় কমপক্ষে ১০০ সংগঠন।
কৃষক বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশেও। মুজফ্ফরনগরে এ দিন বিক্ষোভ দেখান রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি)-এর কর্মী-সমর্থকরা। তবে অনুমতি ছাড়া বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে সংগঠনের জেলা সভাপতি-সহ ৭০ জন আরএলডি কর্মী সমর্থককে আটক করা হয়েছে। এ দিন প্রয়াগরাজেও বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। বিল নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধিতার সুর শোনা গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গলাতেও। তাঁর মতে এই বিল ‘কৃষক বিরোধী’ এবং দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর ‘ভয়াবহতম আঘাত’। তাঁর মতে এই বিলের মাধ্যমে কেবলমাত্র লাভবান হবে বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যবসায়ীরা।