বাংলায় ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক দিবস’ মানবে না রাজ্য। সাফ জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘সেনাবাহিনীকে নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্য। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইউজিসি-কে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই ইউজিসি-র নির্দেশ মানা হবে না’। বিরোধী দল কংগ্রেসও ইউজিসি-র এই নির্দেশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ করেছে। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক দিবস’ পালনে কোনও প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করা হয়নি। বিজেপি-র দাবি, এটা রাজনীতি নয়, দেশপ্রেম।
প্রসঙ্গত, সার্জিকাল স্ট্রাইকের দুবছর পূর্তিতে ২৯ সেপ্টেম্বর ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক দিবস’ পালন করতে চাইছে মোদী সরকার। এই নিয়ে ইউজিসি একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে। ইউজিসি-র সম্পাদক রজনীশ জৈন দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠিও পাঠান। কীভাবে দিনটি পালন করতে হবে চিঠিতে সেই নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে। আর এই নির্দেশিকা ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ, নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এনসিসি ইউনিটকে ওইদিন স্পেশাল প্যারেড করতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের এনে সেনাবাহিনীর বীরত্বের কাহিনী তাঁদের মুখ থেকে শোনা উচিৎ।
এমন ফরমান জারির বিরোধিতায় নেমেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিই। বিশিষ্ট আইনজীবী ও কংগ্রেস কর্মী কপিল সিব্বাল বলেন, ‘আমি ইউজিসি-র নির্দেশিকা দেখে অবাক হয়েছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে দেখে আসছি, ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশ দেয়। এখন দেখছি তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে’। তাঁর প্রশ্ন, ‘মোদী সরকারের যে নোটবন্দীর ঘোষণার ফলে দেশের মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল, সেই নোটবন্দী দিবসও কি পালন করবে ইউজিসি?’