সাংসদদের বেতন ও ভাতায় কাটছাঁটের প্রস্তাব দলমত নির্বিশেষে পাশ হয়ে গেলেও সাংসদ তহবিলের অর্থ ফের চালু করার আবেদনে শুক্রবার উত্তাল হল রাজ্য সভা।
১৯৫৪ সালের সংসদ আইনে নির্ধারিত সাংসদদের বেতন, ভাতা ও পেনশনের অর্থ কমানোর উদ্দেশ্যে এ দিন রাজ্য সভায় সংশ্লিষ্ট বিলটি পরিবেশন করেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি। অন্য দিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি মন্ত্রীদের বেতন ও ভাতা (সংশোধিত) বিল রাজ্য সভায় পেশ করেন।
কোভিড সমস্যায় সরকারি কোষাগারে টান সামলাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদদের বেতন, ভাতা ও পেনশনে কাটছাঁট করার উদ্দেশ্যে আনা দুটি বিলই এ দিন ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায়। তবে তার আগে সাংসদ তহবিলের অর্থ না দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাজ্য সভার একাংশ। তাঁদের যুক্তি, ওই অর্থ না পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা সমাধানে ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না।
রাজ্য সভায় বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ বলেন, সাংসদদের বেতন ও ভাতা ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তে সহমত হওয়া নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, বিশেষ করে অধিকাংশ সাংসদেরই যেখানে আয়ের অন্য উৎস নেই। তবে সংসদ তহবিলের অর্থ আসলে জনগণের অর্থ বলে মন্তব্য করে আজাদ বলেন, ‘সংসদদের আচরণে স্পষ্ট যে, ওই অর্থ বরাদ্দ না করার সিদ্ধান্ত যেন শুধুমাত্র একবছরের জন্যই বিবেচিত হয়। তহবিলের অর্ধেক অংশ কেটে নিয়ে বাকি অর্থ দেওয়াই উচিত সরকারের।’
এ দিন একই আবেদন জানিয়েছেন সিপিএম সাংসদ কে সোমপ্রসাদ, বিজেডি সাংসদ প্রসন্ন আচার্য এবং সমাজবাদী পার্টির সাসংদ বিশ্বম্ভর প্রসাদ নিষাদ। অন্য দিকে, সংসদ ভবন সংস্কার ও নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা এই মুহূর্তে শৌখিনতা ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন আরজেডি সাংসদ মনোজ কুমার ঝা। তাঁর মতে, কোভিড আবহে আপাতত এই সমস্ত প্রকল্প স্থগিত রাখা জরুরি।