এবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সামনে আসা ওই বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে চিনের নাম। ২০১৭ থেকে ২০১৯–এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি যান্ত্রিকরণ যোজনায় স্বল্পমূল্যের ট্র্যাক্টর কেনার বিষয় অনুসন্ধান করার জন্য এমপি অ্যাগ্রো’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর শ্রীকান্ত বানোথ–এর নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের কমিটির রিপোর্টে এই কেলেঙ্কেরির কথা প্রকাশ হয়ে পড়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, নর্মদার তীরে চাষের জন্য জমি চষা থেকে শুরু করে বীজ বোনা, কীটনাশক ছড়ানো ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ করতে সক্ষম ট্র্যাক্টর কেনার সঙ্গে বিপুল পরিমাণ আর্থিক কেলেঙ্কারি জড়িয়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই যোজনায় ট্র্যাক্টরগুলি সরাসরি চাষিদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল।
সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে কোনও দরপত্র বা টেন্ডার ছাড়া এই ট্র্যাক্টর কেনা হয়েছে। এবং বহুক্ষেত্রেই বাস্তবে নয় কেনা হয়েছে শুধু কাগজে। চাষিদের দেওয়া ট্র্যাক্টরপ্রাপ্তির স্বীকারপত্রগুলিও জাল। এই আদ্যন্ত ভুয়ো লেনদেনের টাকা জমা হয়েছে ডিলারদের অ্যাকাউন্টে। উপরন্তু যে ট্র্যাক্টরগুলি চাষিদের দেওয়া হয়েছে সেগুলিও অত্যন্ত নিম্নমানের। এই প্রকল্পটি মধ্যপ্রদেশে প্রযুক্তির সাহায্যে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে চালু করা হয়েছিল। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তি পাওয়ার বদলে কৃষকরা নিম্নমানের ট্র্যাক্টর পেয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এই দুর্নীতি করার জন্য বিধিবদ্ধ নিয়মেও কারচুপি করা হয়েছে। যে ভর্তুকির টাকা সরাসরি চাষিদের অ্যাকাউন্টে যাওয়ার কথা সেই টাকা নিয়মের বদল ঘটিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু সংস্থার অ্যাকাউন্টে।