হিন্দী সেল পুনর্গঠন করল রাজ্যের শাসকদল। তাতে আমূল সংস্কার করে হিন্দী অ্যাকাডেমির দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণার পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া ভাষাচর্চায় জোর দিতে ‘দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমি’ তৈরির কথা জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, হিন্দী সেলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, চেয়ারম্যান প্রাক্তন আইএএস বিবেক গুপ্তা। এছাড়া সেলের অন্যান্য সদস্যদের নামও এদিন ঘোষণা করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১১ সালে এ রাজ্যে হিন্দী সেল তৈরি করেন তিনি। শুধু হিন্দীই নয়, উর্দু, সাঁওতালি, গোর্খা, রাজবংশি, কুরুক-সহ একাধিক ভাষাকে মান্যতা দিয়েছে, মর্যাদাবৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। তবে এবার হিন্দী নিয়ে অন্যরকম পদক্ষেপ নেওয়া হল। জানা গিয়েছে, হিন্দী সেলের কমিটি তৈরি হবে ব্লক, জেলা ও রাজ্য – এই তিনটি স্তরেই। রাজ্যস্তরে তৈরি হবে কো-অর্ডিনেশন কমিটি।
এছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দলিতদের জন্য এবং পিছিয়ে পড়া প্রাচীন লোকসংস্কৃতি ভাষার চর্চায় জোর দিতে রাজ্যে ‘দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমি’ তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি মল্লভূম অর্থাৎ মূলত বিষ্ণুপুর রাজবংশের নানা প্রাচীন সামগ্রী ও পুঁথি যেসব মহাকরণের লাইব্রেরিতে আছে, সেসবের প্রতি যথাযথ নজর দিয়ে, যত্নের মধ্যে দিয়ে সংরক্ষিত করার জন্য মিউজিয়ামের কথা বলেন তিনি।
এদিন ‘হিন্দী দিবসে’র শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিন্দী ভাষাকে আরও মর্যাদা দিতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি অন্যান্য ভাষার প্রতিও রাজ্য সরকার শ্রদ্ধাশীল বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। এরপরই বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে ফের সোচ্চার হন। ফের দাবি তোলেন, বাংলার ব্যপ্তি এবং ঐতিহ্যের কথা বিবেচনা করে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হোক।