দেশের যখনই দরকার পড়েছে তখনই তিনি হাজির হয়েছেন। মাঠ থেকে রাজনীতির ময়দান সব ক্ষেত্রেই এটাই করে এসেছেন ইমরান খান। এবার এশিয়া কাপে দেশকে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠে হাজির হবেন সদ্য নির্বাচিত পাক প্রধানমন্ত্রী। তাও আবার ভারত-পাক মহারণের মঞ্চে।
১৯৯২ অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। ইমরান ফিরলেন অবসর ভেঙে। তখন ইমরান আর বোলার নয় পুরদস্তুর ব্যাটসম্যান। অধিনায়কোচিত কামব্যাক। এলেন, দেখলেন এবং বিশ্বজয় করলেন। এখন ইমরান পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ। বারবার বলে এসেছেন পাকিস্তানে ভালোর জন্য পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। বহু লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতার আসনে আসীন হয়েছেন কিং খান। প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক প্রতি ক্ষেত্রেই দেশকে উদ্বুদ্ধ করতে চান। পাক মিডিয়া সূত্রে খবর, ইমরান প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম বিদেশ যাচ্ছেন। সেই সফরেই তিনি উপস্থিত থাকবেন দুবাইয়ে ভারত-পাক ম্যাচে।
২০০৬ সাল। গ্রেগ চ্যাপেল জমানা। সেটাই ছিল দুবাইতে খেলা প্রথম ভারত-পাক প্রথম সিরিজ। সেই সিরিজ ভারত জিতেছিল। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শেষ দেখা হয়েছিল ভারত পাক। সেই ম্যাচের জয়ী পাকিস্তান। আর তারপরেই বুধবারের ম্যাচ যেখানে উপস্থিত থাকবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আটের দশকে ইমরান খান অধিনায়ক হিসাবে ভারতের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ ম্যাচ খেলেছেন। এবার মাঠে তার উপস্থিতি থাকবেন দেশের রাজনৈতিক অধিনায়ক হিসেবে। এই প্রসঙ্গে পাক অধিনায়ক সরফরাজ খান বলেন, ‘ওঁর মতো ব্যক্তিত্ব মাঠে থাকা মানে এটা ম্যাচের পক্ষেই ভালো৷ কারণ দুই দেশেই ইমরানের প্রচুর ভক্ত রয়েছে।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি পাকিস্তান ক্রিকেটের পক্ষে বলেন, তাহলে বলব ওঁনার মতো ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।’