করোনা আবহের মধ্যেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন বা ইউজিসি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছিল অনেক রাজ্য। পরীক্ষা বাতিলের দাবি করেছিল তারা। সেই নিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টেও। দেশের শীর্ষ আদালত শুনানিতে ইউজিসির পক্ষেই রায় দিল। জানিয়ে দেওয়া হল, ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা নিতেই হবে। কিন্তু সংক্রমণের কারণে পরীক্ষার দিন পিছোতে পারে। ইউজিসির সঙ্গে কথা বলেই তা ঠিক করতে হবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে।
করোনাভাইরাসের আবহে পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে আদালতে বেশ কয়েকটি পিটিশন জমা পড়েছিল। পিটিশন দাখিল করেছিল আদিত্য ঠাকরের যুব সেনাও। দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যখন দিনদিন বাড়ছে, এই অবস্থায় পরীক্ষার আয়োজন করলে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ থাকবে। তা ছাড়াও এই অবস্থায় সব রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকায়, পরীক্ষা আয়োজনে সমস্যার মুখে পড়তে হবে বলেও জানানো হয়েছিল পিটিশনে। তাই পরীক্ষা বাতিল করার আর্জি জানানো হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে।
বলা হয়েছিল অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের কথাও। তবে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ণের তত্ত্বে সায় না-দিয়ে ইউজিসি-র সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে রাজ্যগুলি চাইলে করোনা আবহের কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে পরীক্ষা বাতিল করা যাবে না। শুক্রবার বিচারপতি বলেছেন, ‘রাজ্যগুলি যদি মনে করে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়, তবে তারা ইউজিসি-র কাছে আবেদন করতে পারে।’ এ দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এই রায় দেন বিচারপতি অশোক ভূষণ, আর সুভাষ রেড্ডি ও এম আর শাহের বেঞ্চ।
শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের পাশ করানো যায় না। তাই রাজ্য সরকারগুলিকে পরীক্ষা নিতেই হবে। কিন্তু আদালতের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়ে যেতে পারেন বহু পড়ুয়া। কারণ, আনলক পর্বে সেভাবে গণপরিবহণই চলছে না। বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনের ভিন্ন ভিন্ন কড়াকড়ি। সেক্ষেত্রে কীভাবে পরীক্ষা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন পড়ুয়ারা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তাছাড়া এই অনিশ্চয়তার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিও যে ভালভাবে হয়নি, সেটাও বলার অপেক্ষা রাখে না।