করোনা পরিস্থিতিতে দেশে জিএসটি সংগ্রহ ভাল রকম ধাক্কা খেয়েছে। কমেছে সেস সংগ্রহও। অবস্থা এমনই যে রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাতে বেগ পেতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। তবে যে করেই হোক করোনা সংকটের সময়ে রাজ্যগুলির জিএসটি বাবদ যে ক্ষতি হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে তা মেটাতে হবে। সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই হতে চলা জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের আগে কেন্দ্রকে এমনটাই জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানতে চাওয়া হয়, কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্যগুলিকে জিএসটি মেটাতে বাধ্য? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, হ্যাঁ, যাই হয়ে যাক না কেন কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ মেটাতে বাধ্য।
প্রসঙ্গত, জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছাড়াও সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। গত মার্চ মাস থেকে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকেই গোটা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে উঠেছে। যার ফলস্বরূপ সব রকম পণ্য থেকে আদায় হওয়ায় জিএসটি বন্ধ হয়ে গেছে রাজ্যগুলির। এর দরুন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। তবে সর্বাধিক কষ্টের মধ্যে রাজ্য সরকারগুলি রয়েছে। তাই বকেয়া যে জিএসটি রয়েছে তা যেভাবেই হোক রাজ্যগুলিকে দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
বর্তমানে যখন রাজ্যগুলি ক্রমাগত অর্থ সংকটে ভুগছে এবং কেন্দ্রের কাছে বকেয়া জিএসটি আদায়ের দাবি জানাচ্ছে, সেই সময়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের এই মন্তব্য কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য খুব একটা সুখকর নয়। রাজ্যগুলিকে জিএসটি দেওয়ার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে কংগ্রেসও। পরিস্থিতি এতটাই করুণ যে খোদ বিজেপি বিধায়ক তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ধারদেনা করে রাজ্যগুলির জিএসটি মিটিয়ে দেওয়া। কেননা কেন্দ্র এটা করতে দায়বদ্ধ। সবমিলিয়ে যে জিএসটি-কে এতদিন ভারতীয় অর্থনীতির গেমচেঞ্জার বলে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করে এসেছিল, সেই জিএসটি এখন তাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।